পোস্ট বার দেখা হয়েছে
শরীর খারাপ
প্রথম দিন,
ঋতু প্রবাহের মধ্যস্রোত।
অতিশীতল শরীরের নিশ্চুপ বসে থাকা।
রক্তে মাখামাখি জড়তা।
চোখে ঘুমের আস্ফালন।
নিম্নাঙ্গে রক্ত-চলন।
সারা দেহে স্পর্শ-চাহিদা।
তুমি কোথায়?
দ্বিতীয় দিন,
যোনি চিঁড়ে বেরিয়ে আসছে কান্না।
মেজাজ গ্রীষ্মের দুপুর।
নাভি-দেশে হাতুরির করাঘাত।
বিছানা আর পায়ের অবিচল ঘর্ষন।
বিচলিত জঠরে বিদীর্ণ মজ্জা।
রক্তিম মাটিতে রেখে দেওয়া শরীর।
খবরদার আমায় কেউ ছোঁবে না।।
তৃতীয় দিন,
নদী ক্ষীণ হয়ে আসে।
পথে এলিয়ে পড়ে ক্লান্ত পথিক।
মাথার ভেতর ঘর বানায় আস্ত পৃথিবী।
উদ্ভ্রান্ত চাহনি।
চাহনিতে ঘুমের ক্লান্তি।
যোনির খসখসানি...।
মুখে "কেউ বোঝেনা"-র প্রলাপ।।
চতুর্থ দিন,
চাপ-চাপ রক্ত।
জটিল অনিয়মিত রক্ত।
ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর অবসাদ।
ধূসর বিষাদ।
কালচে অস্বস্তি।
যৌবন-যন্ত্রণা।
মাতৃত্বের পিছুটান।।
=====
মারোয়া
রাস্তার একদম মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি
শুধুমাত্র ভরসা করে হেঁটে যাচ্ছি আমি।
ভরসা করছি, নৃশংস গাড়িগুলোর উপর।
আমাকে দেখে থেমে যাবে ওরা....
সামনে পিছনে নাতি ক্ষুদ্র পথ,
মাঝে মাঝে মোড় ঘুরেছে,
জীবনের মতো।
আমার কানের পাশে রাস্তার ধারের উল্লাস,
নিরাপদ দূরত্বের উৎসাহ,
আমাকে নাকি এগোতে হবে আরো অনেক দূর...., এইভাবে!
আর ওই স্বরগুলো আমার সঙ্গে যাবে,
নিরাপদ বলয়ে চেপে।
আমার মুখে সিগারেট,
ঠোঁটে কেত্।
আমি হেঁটে যাচ্ছি অনন্তের পথে,
ওইখানে আমার ঘর।
ঘরে আমার স্ত্রী,আধপেটা,
কাঁধ থেকে খুলে আসছে জামা,
কেউ তাকাচ্ছে না কাম-চোখে।
পাহাড়ি ঝরনা শুকনো, বাচ্চাটা কাঁদছে,
তার ঠোঁট ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে....।
মাটির উপর বসে ধুলো মাখছে গায়ে...
আর আমি হেঁটে যাচ্ছি...
পৌঁছাতে পারছি না....
ভাতের গন্ধে আকুল হচ্ছে পথ....
আমার চোখে খালি ....আধপেট, অবহেলা, আতঙ্ক,নিরাপদ চিৎকার আর....
আর বিশ্বাস,
একদিন ঠিক.....
ঠিক পৌঁছে যাব ঘরে,
নিজের ঘরে.....।
0 মন্তব্যসমূহ