আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স - কি এবং কেনো? ~ দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স - কি এবং কেনো?  

দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য


বিজ্ঞানের আশ্চর্য বিজ্ঞান নিজেই। তার শাখা প্রশাখা বিস্তারের কোন নির্দিষ্ট সীমানা নেই। কম্পিউটার প্রযুক্তি বিজ্ঞানের এক বিশেষ ধারা । এমনকি এই প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আরও উন্নত হয়ে চলেছে, যা আমাদের কল্পনার বাইরে । তারই আরেকটি ধাপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।


আপনারাতো এটি সকলেই জানেন যে, কম্পিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই। কম্পিউটার নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না। এ যন্ত্রকে যে কাজটি করতে বলা হয় একমাত্র সেটিই করে। কম্পিউটারকে কাজ করতে হলে বাহিরে থেকে প্রোগ্রামিং সেট করতে হয়। কম্পিউটার শুধু নিজের কাছে সংরক্ষিত তথ্য এবং প্রোগ্রামের আলোকে কাজ করতে পারে। কোন সমস্যা দেখা দিলে বা কোন সমস্যার আলোকে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে না। কোন সমস্যা দেখা দিলে কম্পিউটার যাতে নিজে থেকে তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেজন্য এর ভেতরে অনেক সমস্যার সমাধান ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটিকেই বলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।


এ বিষয়ে  একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে । সেটি হল গুগল বা ফেসবুক অ্যাড সম্পর্কে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে আপনি যে বিষয়ে বেশি ভালোবাসেন বা যে বিষয়ে বেশি আগ্রহী সেসব অ্যাড ই কিন্তু আপনার ইউটিউব ভিডিও কিংবা ফেসবুকে প্রদর্শন করে। ফেসবুক এবং গুগল আপনাদের অ্যাক্টিভিটি গুলো তারা তাদের ডাটাবেসের সেভ করে নেয় পরবর্তীতে আপনাকে আপনার পছন্দের বিজ্ঞাপণ দেখানোর কাজে। যা পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আপনার কাছে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করে। ফলে আপনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে কোন অহেতুক বিজ্ঞাপণ পান না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আপনাকে আপনার পছন্দের বিজ্ঞাপনগুলো এনে দেয়। আর এ সবই করে তার নিজের বুদ্ধি বা মেধা খাটিয়ে। নিউরোন বা স্নায়ু দ্বারা গঠিত কোনো রক্তমাংসের ব্রেন নয়, প্রযুক্তি বা মাইক্রো চিপ দিয়ে তৈরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) সাহায্যে। বাংলায় কৃত্রিম মেধা।


বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কৃত্রিম মেধার সুবাদে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের থেকে ভালো পরিষেবা দিতে পারবে যন্ত্র। মানুষের অনেক কাজ করবে তারা।


এআই ( AI ) প্রযুক্তির ব্যবহার হওয়া ক্ষেত্রগুলো হলো —

স্মার্ট গাড়ি ও ড্রোন.  সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট , মিউজিক ও মিডিয়া , অনলাইন বিজ্ঞাপন , নেভিগেশন এবং ট্রাভেল.  ব্যাঙ্ক পরিষেবা , নিরাপত্তা ও নজরদারি , বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ।

এত সুবিধার পরও এআই নিয়ে বিশ্বজোড়া বিতর্ক একটাই — আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে বিভিন্ন সংস্থায় মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাবে না তো? একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ চাকরি সঙ্কটে। 

যদিও, এই ভয় ও উদ্বেগের মধ্যে সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, প্রযুক্তির বদল যত না কর্মসংস্থান নষ্ট করেছে, তার থেকে বেশি চাকরি সৃষ্টি করেছে। কারণ, স্বয়ংক্রিয়তার ফলে যখন একটি নির্দিষ্ট কাজ দ্রুত, সহজ ও সস্তা হয়ে যায়, তখন সেই কাজের বাকি দিকগুলো সম্পন্ন করতে প্রয়োজন হয়ে পড়ে আরো বেশি মানবসম্পদের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ