দর্পণ || দৈনিক কবিতা গুচ্ছ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

আনন্দ ফিরেছে


আনন্দ ফিরেছে;

কালো বাদল সরেছে,

রোদ্দুর এসে পরেছে ঘরের ভিতর।

বায়ু চলছে - বট গাছ ঝিকিমিকি আওয়াজ করছে;

বন্টু ও সন্টু আম গাছ থেকে আম পারছে।

বিনদি মামি নদীতে স্নান করছে।

মাঝি তিনলি দিদি কে নিয়ে নদীর ওই পারে যাচছে। 

সবাই আনন্দে সব কাজ করছে।


নাম - স্বনেশা ঘোষ 

Class - 3 section - 2

School - Loreto Convent Entally

======

মায়ার বাঁধন

শান্তি দাস


এই সংসার মায়ার বাঁধন জীবনের সব কিছু, 

ভালোলাগা ভালোবাসার এই আমার পৃথিবী তাই তার পিছু।

সন্তান গর্ভে ধারণ করে জন্ম হয় মায়ের কোলে, 

তার মায়া ভরা চোখ আর হাসিতে মন যায় ভুলে। 


এই মায়ার বাঁধন থেকে জীবনে শুরু সন্তানের মুখপানে চেয়ে, 

বাঁধন ছেড়ে কেউ পারেনা  সমস্ত ব্যথা বেদনা নিয়ে। 

সন্তান আস্তে আস্তে বড় হয় মায়ের আঁচল ধরে, 

আদো আদো বুলিতে যখন মা বলে ডাকে মনটি যায় ভরে। 


মিষ্টি হাসিতে মা ডাকলে নিমেষে মায়ের প্রাণটা জুড়ায়, 

এই মায়ার বাঁধন ছিন্ন করতে পারবে না কেউ এই ধরায়। 

মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে যেতে সাধ্য একমাত্র সাধু সন্ন্যাসীরা, 

সংসারের মায়াজাল থাকতে আমার আমার করা। 


এই সংসারে মায়ার বাঁধন রাখতে কত না মিথ্যা আচরণ, 

সংসার পালনে সারাজীবন ধরে কত কিছুই করে গোপন। 

দিনরাত খেঁটে যায় একটু চায় সুখের ছায়া, 

শুধু নিজের করে গড়তে সন্তান যার জন্য এতো মায়া। 


যতদিন পৃথিবীর বুকে ততদিন শুধু মায়াজালে থাকতে হয়, 

আসলে তো যাহা আছে জগৎ সংসারে নিজের কিছু নয়, 

ভগবান আছেন বিপদ আসলেই নেই  তার নাম, 

মরন নিশ্চিত জেনে ও মায়ার বাঁধনে রাখে এই ধরাধাম।

হিম

অনন্যা পাল সেনগুপ্ত


প্রকৃতির সারা দিনের মান অপমানের জবাব দেয়  হিম,

রক্তাক্ত হয়ে কাউকে কিছু বলতে না পারার কষ্ট 

হয়ে ঝরে পড়ে হিম।

সারা বছরের দুঃখ কষ্ট সব একত্রে সাজিয়ে হেমন্ত আর শীতে 

 ভোরের বেলায়  গাছের পাতায় পাতায় 

টুপটাপ করে পড়ে হিম

হিম তো প্রকৃতির কান্না,হিম তো প্রকৃতির  পান্না 

হিম তো প্রকৃতির  বেদন,হিম তো প্রকৃতির রোদন।

হিম তো শিশির , হিম তো হৈমন্তিক

হিম তো শীতল ,হিম তো  অবদান প্রকৃতির।

====

মেঘাচ্ছন্ন জংশন

সুব্রত মিত্র


দাদা আমার থাকে পাঁচ তলায়

আমি থাকি গাছ তলায়

সমাজ বোঝাই ব্যক্তিবর্গ গণ্যমান্য

ইনারাই ভাই রচনা করছে সবাই সামাজিক অর্থ বৈষম্য


খানাকুল তহবিল অন্ন তালাশে উড়ে চলে গাঙচিল

ভাবনা মুখর ভুবন তটে

মানুষগুলো মরছে খেটে

কবিতা লেখেনি কেউ জন প্রগতির

জনজাতি•••••••জনজাতি•••••••••বলে চেল্লায় কোন ভণ্ড রাজের দল।


দেশ দরদ আর মশা মারার ইতিহাস

এই শহরে দেখা যায় বারোমাস

আলোচ্য বিষয়ের সুরে কোথাও দূরে••••

সমাজ ভাঙার শব্দ;মানবতা ছেঁড়ার গান করেছে কারা রপ্ত,


আত্মসন্তুষ্টির গোড়ায় রাষ্ট্র শোষণের গোপন ভাষণ

রঙে মাতে শহরের জনস্রোত

ক্রমে-ক্রমে নেতাগণের কল্পনায়

বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে নাগরিক আসরের মতামত


শৃঙ্খলহীন শিকলের মূল্য বিকল

এই সহজাতের সহবাস শহর দেখে বারোমাস

সকল শিকল গরিবের ঊর্ধ্ব রোধের কল

এমন নেতা হোক দেশের পিতা

অনাহারী আর সকল দুর্বল পাক ফিরে মনোবল,


তুমি জানো না কি?

এখনো তোমার জানার আছে বাকি?

তোমার সাথে আছে আমার অনেক ব্যবধান;

দ্বিচারিতার মেহনতিতে হয়েছে নির্মিত আমার জন্মস্থান;


আসলের মাথায় ঝোলে নকলের বোঝা

আমার মাথা বোঝাই চির অপমান

কাল আর বিরহের গান ভরা আমার প্রস্থান

তোমার সাথে আছে আমার অনেক ব্যবধান,


বিশুদ্ধ চরণে হেঁটে গিয়ে--

একটা দেওয়ালে হেলান দেওয়ার হয়নি খেয়াল

স্থির জল করে ছলছল

ঠিকানা খোঁজেনি তার কোন নাবিক

ঘুমের জরায়ুতে বেঁধেছি শিকড় তবু,

জিজীবিষা ডাকে নাই,ডাকে নাই কোন মায়ার কান্না


এই অবক্ষয় মূর্তি করিতে লালন

হয়নি উদ্ভব আজও কোন মহাজন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ