দর্পণ || সাপ্তাহিক হোয়াটসএপ সেরা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

ওরা আজও জেগে

বিপ্লব কংস বনিক


সে দিনের সেই  অমর শহীদেরা

মাতৃভাষাকে " মা " বলে ডেকেছিল।

তাদের বুকে ছিল সৃষ্টি কর্তার প্রতি প্রাণাধিক ভালবাসা।

চেতনায় আত্মবলীদানের শপথ,

চোখে অগ্নিসম  তেজ,

শিরদাঁড়ায় পাহাড়ের মত দৃঢ়তা,

যৌবন ঝরনার উচ্ছলতা,

রক্ত স্রোতে ছিল জন্মভূমির গৌরব,

মাটি মুঠো করে ঘাঁটি গেড়ে ছিল খাঁটি--

আকাশে রেখে ছিল দৃষ্টির বিস্তৃতি--

অধীনতা কে তুড়ি মেরে " মা " উচ্চারনের স্বাধীনতা-- ওদের ছিল দাবী।

সেই দিনটা আজও ২১শে ফেব্রুয়ারির 

আজও পুবে রাঙ্গা হয় রক্তিম  আভায়

সঠিক সময় ঘুম ভাঙ্গে সূর্যের

কুয়াশা কেঁটে যায়, জোয়ার ভাটা আসে নিয়ম মেনে

রাজ্জাক, বরকত,শফিউর,আজও  জেগে

সুদীপ্ত,  আনিস, মইদুল  নামে,,,,

====

 A Housewife 

Ms Gargi Saha  (C)


Swishing, swashing, rinsing 

Brushing, cleaning, squeezing 

Cutting, oiling, frying 

Garnishing, serving, preserving 


Ironing, dry cleaning, gardening 

Dusting, polishing, furnishing 

Mothering, child bearing, nursing 

Thinking, caring, housekeeping 


And the establishment of the domestics 

Spic and span 

Is it less 

To be an unpaid, qualified housewife? 


Than a professional robot 

Who manages finances 

On par with man 

And subordinate to a woman. 

====

খোলা চিঠি  

সুজিত চক্রবর্তী 


 

 বোধের এই নো-ম্যান'স-ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে 

 লিখছি তোমাকে আজ কিন্তু খোলাখুলি : 

 মনে করো ,  এই কবিতার নাম চিঠি । 


 আসলে কি জানো, মুগ-কলাই এর ডাল , 

 সঙ্গে একমুঠো মুচমুচে উষ্ণ আলুভাজা , 

 এই খেয়ে তৃপ্ত সুখে কবিতা লেখে যারা 

 তাদের রক্তের রঙ এত লাল হ'তে পারে , 

 যেকথা শুনলে সেদিনও সশব্দ হাসতো 

 ঢাকার রাস্তায় ইতস্তত ব্যস্ত ঘোড়াগুলি ...


  অথচ সেটাই হোল । শুধুমাত্র ভাষার 

  অধিকার আদায়ের দাবিতেই  ওরা  

  প্রাণ দিল সেইদিন একুশে ফেব্রুয়ারি । 

  আমরা যারা চিরদিন কাছে কিম্বা দূরে 

  সশব্যস্ত ছিলাম যে যার আপন সংসারে, 

  বিস্ময়ে হতবাক হয়ে শুনেছি  অবিশ্বাস্য 

  অমোঘ ঘোষণা, রবিঠাকুর রক্তে মিশেছে ! 


   ততক্ষণে , কথা বলার শক্তি গেছে চলে । 

  শুনেছি ভিতর-কানে, একটি প্রশ্ন  ঘোরে , 

   গুমরে যেন  মরে,  কালবোশেখীর ঝড়ে : 


তুমি তো প্রেমিক ছিলে, যোদ্ধা হ'লে কবে ?

====

ঘুরে দেখি 

কামনা ইসলাম 


তবুও আমি উম্মাদের মতো ছুটে চলি, 

দেখছি আমার  চারিপাশে কেউ নেই আমাকে বাঁচানোর মতো।

 অহংকার, হিংসা, ঘৃণা গুলো ছুটে বেরিয়েছে। 

সুযোগ পেলেই জড়িয়ে ধরতে চায় আমার সহজ সরলতাকে। 

আমি বোকা নই, মাঝে মাঝে একটু সহজ সরল স্বভাবের চলাফেরা করি।

আমি উন্মুক্ত মনে ঘুরতে চাই, আমি আকাশের মতো আপন করে নিতে চাই এই মায়াময় বিশ্বকে।

কিন্তু যখন আর পারিনা, তখনই কঠোর গলায় কথা বলি।যখন আমার আর বাঁচার রাস্তা থাকেনা।

আমি কোনো দিন বেহুশ ছিলাম না, আজও নেই। 

আমি আমার জীবনের প্রতিদিন হুস থেকেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি আজও করছি। 

প্রতিশোধ,, 

এগুলো শুনতে আমার ভালোলাগেনা।

আমার ভালো লাগে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে। 

 অশ্রু মুছে ফেলে আবারও হাসতে ইচ্ছে করে। 

বেদনার মতন ভারি পাথরের সাথে দেখা করতে মন চায়না কখনও। 

যাকে ভালোবাসি তার ভালোলাগা গুলোকে ভালোবাসতে মন চায় বারবার। 

অপেক্ষায় বেশি সময় থাকতে পারিনা।

কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয় জেনেও জড়িয়ে থাকা কম দামি আপন জিনিসটা কাউকে দিতে চাইনা।

দূরের গ্রাম গুলোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। দেখতে ইচ্ছে করে বড় বড়ো দালান গুলো। 

কোথায় সুখ বেশি? 

ভালোবাসা, মায়া মমতাকি শুধুই ইট পাথরের গায়ে?  না-কি দূর্বাঘাসের শিশিরে জড়িয়ে থাকে ভালোবাসা মমতা মায়া? 

আমি আমাকেই কল্পনায় ভাসিয়ে রাখি, মাঝে মাঝে সমুদ্রে, মাঝে মাঝে শুকনো মাটিতে। আবার ঘুরে দেখি মরুভূমির প্রখর সূর্যের আলোতে।

====

তোমার জন্য

অকবি


তোমার জন্য

শুধু তোমারই জন্য

সরু আলপথ ধরে হেঁটে এসে

পথ খুঁজে পাওয়া।

তোমার জন্য

শুধু তোমারই জন্য

মেঘের তারুণ্য ছুঁয়ে

অজস্র বর্ণালী রঙ নিয়ে

ডানা মেলা।

পাহাড়ের এই চুড়ো থেকে সে চুড়ো

বাউন্ডুলে ছেলেটির

বোবা ছন্দ

বাউলের সুরে।

তোমার জন্য

শুধু তোমারই জন্য

চা পাতার কচি সুবাস

শিরিষের অমল দৃষ্টি

বন্ধ করেছিল।

তোমার জন্য

শুধু তোমারই জন্য।

ডিহিং ঝর্ণার পাহাড়ি

স্রোত বেয়ে পৌঁছে দিলো

জলঢাকা, রায়ডাক আর

তিস্তা নদীর ঢেউয়ে।

শিকড় থেকে শাখা প্রশাখায়

নিবিড় পরিচর্যার ঘরে

মধুকোষ ভোরে যায়

তোমার জন্য

শুধু তোমারই জন্য।

=====

কবিতার মন্তাজ

অসীম দাস 


শিমূলের সুরে বাজে বসন্ত বীণা 

পলাশ পরাগে ফোটে ফাগুনের ফুল ,

দৃশ্য এসেছে , কবিতাকে পাচ্ছি না 

অথচ প্রকৃতি মন্তাজে নির্ভুল ।


আমের শাখায় মুকুলেরা এসে বসে 

বাতাসে বাহার ভরেছেন ঋতুরাজ ,

কথামৃত'র মালাকার রসেবশে 

ঘন হলো রোদ , কবিতা এলো না আজ ।


প্রকৃতির পাশে প্রেমিকা দাঁড়ালে নদী 

নদী বয়ে বয়ে প্রেমিকের আনচান ,

আনচান টানে পূর্ণিমা আসে যদি 

মন্তাজ হবে কবিতার সাম্পান ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. কবিতাগুলো পড়ে ভাল বা মন্দ লাগার আগেই এত বানান ভুল খুবই আহত করেছে।ভাষা দিবসের কবিতা অথচ কবির নিজের ভাষার এই দুর্বলতা কি সহনীয়?

    উত্তরমুছুন