পোস্ট বার দেখা হয়েছে
জলছাঁট দাও ক্ষোভের আগুনে
অনেক আগেই শেষ হয়েছে কথা
শেষ হয়েছে গল্প বলা কবিতা ও গান
যা বলছি সবাই
তাতো আদিষ্ট পয়ার ময়নার মতো সুরেলা আওয়াজ
যেটুকু আছে সময় হাতে
যেটুকু আছে সন্মুখে যাবার
আর যেটুকু আছে পাবার ও আদায়যোগ্য
তা নিয়ে তোষামোদ করার কী প্রয়োজন ?
সকল কপট চিত্রকে এক করে
শর্তভাঙ্গার সকাল মধ্যাহ্ন ও রাতের কষ্ট মুছে ফেলে
জনে জনে মিলিয়ে নাও প্রতিবাদ কর্ম।
এখন কথা না বলে গল্প না বলে
হতাশার চোখে জলছাঁট দাও ক্ষোভের আগুনে।
=====
কবি যেনো বরফে আচ্ছাদিত ইলিশ
কবিগন এখন আর দেবতাতুল্য নয়
তাদের প্রকাশ ও মানবিকবোধ শয্যাশায়ী আত্মঅহংকারে
সত্য প্রকাশে তারা খুব পক্ষপাতদুষ্ট
কেউ কেউ একনায়কতন্ত্র,গণতন্ত্র বা রাজতন্ত্রের গল্প বলে যান
তাঁরা সত্যের গান গাইতে ইতস্তত করেন খুব
এবং প্রতারক সময়ে শেয়ালের মতোই লুকিয়ে যান রাত্রির খোড়লে।
কবিগন এখন আর পূজ্য নন
তাঁরা সময়ের বানী প্রচারে চাতুর্যের মুখোশে থাকেন লুকিয়ে
আর তাই অসহায় নিপীড়িত মানুষের সঙ্গি হতে পারেন না আর
তারা মাঠে নেই, যুদ্ধেও সতর্ক তাদের কলম
কিছু কলম চাতুর্যে লিখে সংগ্রামি শ্লোক স্বাধীনতার বিস্মৃতি ভাষণ।
কবিগন এখন উত্তাপহীন
তাঁদের ভেতর নেই আগুন, নেই শেকল ভাঙ্গার সুর
কবি যেনো বরফে আচ্ছাদিত পদ্মার ইলিশ নদীর মৃত মাছ।
=====
জলছাঁট দাও ক্ষোভের আগুনে
অনেক আগেই শেষ হয়েছে কথা
শেষ হয়েছে গল্প বলা কবিতা ও গান
যা বলছি সবাই
তাতো আদিষ্ট পয়ার ময়নার মতো সুরেলা আওয়াজ
যেটুকু আছে সময় হাতে
যেটুকু আছে সন্মুখে যাবার
আর যেটুকু আছে পাবার ও আদায়যোগ্য
তা নিয়ে তোষামোদ করার কী প্রয়োজন ?
সকল কপট চিত্রকে এক করে
শর্তভাঙ্গার সকাল মধ্যাহ্ন ও রাতের কষ্ট মুছে ফেলে
জনে জনে মিলিয়ে নাও প্রতিবাদ কর্ম।
এখন কথা না বলে গল্প না বলে
হতাশার চোখে জলছাঁট দাও ক্ষোভের আগুনে।
=====
ভালোবাসার করুণা
ন্ধদয়ের ভাবনাগুলোকে বিভক্ত করেছি আমি
একদিকে প্রেম আর অন্যদিকে করুণা থাকে শুয়ে প্রত্যুষের বিছনায়
যাকে ভালোবাসি সেতো নয় স্বজন আমার
সে-ই শত্রু হয়ে নীরবে আশ্রয় নিয়েছে বুকের ভেতর
সে-ই আমার পতন ত্বরানিা¥ত করতে পরিকল্পনা করে
দিন রাত নির্মাণ করে নিজ ঘর গুটিকয় হন্তারক সাথে।
যাকে ভালোবাসি
যার জন্য পাহাড়সম বিশ^াস সে-ই দুর্গম গুহায় থাকে বর্ম পড়ে
শহর ছেড়ে চলে এলে গলি পথে
দেখি তারই প্রেরিত এজেন্ট ঘাড় বাঁকা করে থাকে তীর্যক চোখে
অথচআমি প্রেমে দৃঢ়, আমৃত্যু আলিঙ্গন করছি শত্রুর সাথে।
একদিকে ভালোবাসা
অন্যদিকে করুণার বর্শা নিক্ষেপ করছি আমিও।
======
গলির মধ্যে ঢুকে গেলেই
গলির মধ্যে ঢুকে গেলেই বীর হয়ে ওঠি
মেহগনী খাট জলচিত্র ফ্লাওয়ার ভাস
পুষ্প রাশি রাশি টকটকে লাল সোফার কভার আর
মার্বেল পাথরের ওপর বসে থাকা দুনিয়াখ্যাত ম্যুরাল আর
খোদাইকরা পড়ার টেবিল--স্মৃতির চিহ্ন।
গলির ভেতর ঢুকে গেলেই অন্যরকম পরাক্রমশালী হয়ে ওঠি
তার দীর্ঘস্পন্দন গায়ের ঘ্রাণ
মূর্ত শরীরের বাঁকে মোহিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি যুদ্ধরত অশ্বারোহী।
গলির মধ্যে ঢুকে গেলেই পরাজিত হয়ে ওঠি
ঝরনার জল থেকে খসে পড়ে ক্লান্তির ঘাম
নিরস্ত্র সৈনিকের মতো
বারবার এই পরাজয়ই আমার বীরত্বের পদক।
=====
এই ঘাসে ধূসর মাটিতে
সম্প্রতি পাশ্চাত্যের অনেক সাহিত্যকৌশল
আমার ভেতর অনুপ্রবেশ করছে সময়ের ফাঁকে
এলিয়ট কোলরিজ এ্যলান পোঁ কোলরিজ ও এঁজরা পাউণ্ডের শব্দবুনন
তাদের সূর্যালোক ও বিশ্বাস , বৈচিত্রপূর্ণ উদাহরণ সমষ্টি ঘিরে রাখে আমাকে
তখন ইচ্ছে করে গড়ে তুলি তাদের চোখে এক আলাদা ভূবন। কিন্তু।
আমার চিন্তার পার্থক্যকে ওজনমাপার মেশিনে রেখে পরক্ষণেই দেখি
এই আকাশ ধানের ডাঁটা সর্ষের ফুল নয়নকাড়া নদীর বাঁক
আমাদের কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতা
কদম ফুল ফলের সুবাস হৃদয়ের গহীনে গেঁথেছে শেকড়।
আমার সূর্য কিরণের রঙ ভিন্ন
আমার স্বচ্ছ আলোয় ভরা স্বপ্নের মাঠ
শ্যামল সবুজ এই বাংলা মগজের কোষে কোষে ছবি আঁকে
এই ঘাসে ধূসর মাটিতে কবর চোখের জল।
এখানেই
বুকের পাঁজরে সাজানো গানের সুর--আমার সোনার বাংলা. .
0 মন্তব্যসমূহ