কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের সংগ্রহ থেকে ঘুমপাড়ানি ছড়ার ঝুলি || অলিপা পাল




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের সংগ্রহ থেকে ঘুমপাড়ানি ছড়ার ঝুলি

অলিপা পাল


সাহিত্যের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাসে ছড়ার বিকাশ ও উৎকর্ষ আমাদের বারবার চোখে পড়ছে। আদিতে সাহিত্য রচিত হতো মুখে মুখে এবং ছড়াই ছিল সাহিত্যের প্রথম শাখা বা সৃষ্টি। সাহিত্য লেখ্যরূপে পাওয়ার পূর্বে ছড়ায় মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করতো।প্রাচীনকাল থেকে ইংরেজি ভাষায় ননসেন্স রাইম প্রচলিত রয়েছে কারণ ছড়ার প্রধান দাবী ধ্বনিময়তা ও সুরঝংকার, অর্থময়তা নয়। যদিও এখনও অনেকেই ছড়াসাহিত্যকে শিশুসাহিত্যেরই একটি শাখা মনে করেন কিংবা সাহিত্যের মূলধারায় ছড়াকে স্বীকৃতি দিতে চান না।
ছড়া মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত ঝংকারময় পদ্য। এটি সাহিত্যের একটি প্রচীন শাখা।প্রাচীন বাংলাতেও ‘ছেলেভুলানো ছড়া’, ‘ঘুম পাড়ানি ছড়া’ দীর্ঘকাল যাবৎ ঠাকুমা দিদিমা মায়ের কন্ঠে প্রচলিত।

"বাংলা ভাষায় ছেলে ভুলাইবার জন্য যে-সব মেয়েলি ছড়া প্রচলিত আছে, কিছুকাল হইতে আমি তাহা সংগ্রহ করিতে প্রবৃত্ত ছিলাম।"— বিশ্ব কবি

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের সকল শাখায়ই পদচারণা করেছেন সগৌরবে। যখন যেখানে হাত দিয়েছেন তখনই তা হয়েছে সরস, উর্বর, বৈচিত্র্যময়। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সভ্যতা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার, মাটি ও মানুষের কবি। তাই শিশুরা তার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়নি। শিশুদের জন্যে তিনি লিখেছেন অসংখ্য ছড়া, কবিতা, গান, গল্প নাটকসহ নানা রকম শিশুতোষ রচনা।  আবারও তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম ছড়া সংগ্রাহক ৷

ছড়াগুলো প্রধানত মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথ প্রথমে এ ছড়াগুলোর নাম দেন ‘মেয়েলি ছড়া’ ৷এ নামেই তাঁর প্রবন্ধ লেখেন। পরে লোকসাহিত্য এ ছড়াগুলোর নামকরণ করেন ‘ছেলেভুলানো ছড়া’।

রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় এবং আশুতোষ ভট্টাচার্য্য বলেছেন অনেক ছড়া কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সংগৃহীত। তবে, ‘ছেলেভুলানো ছড়া’র কয়েকটিতে শাহজাদপুরের প্রচলিত শব্দ এবং গ্রামের নাম পাওয়া যায়। ছড়াগুলো যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন এগুলো বাংলা কাব্যের বৃক্ষমূল।

 তবে মনে প্রশ্ন জাগে রবীন্দ্রনাথের মতো একজন মানুষ কেন লোকছড়া সংগ্রহ করলেন, কী আছে এই ছড়াগুলোতে ?

  বিভিন্ন তথ্য থেকে জানাযায়,কবির মতে—"আমাদের ভাষা এবং সমাজের ইতিহাস-নির্ণয়ের পক্ষে সেই ছড়াগুলোর বিশেষ মূল্য থাকিতে পারে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে যে-একটি সহজ স্বাভাবিক কাব্যরস আছে সেইটিই আমার নিকট অধিকতর আদরণীয় বোধ হইয়াছিল।" সহজ-স্বাভাবিকের জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে এ ছড়াগুলো প্রবাহিত হয়ে আসছে। ছড়াগুলো সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উচ্ছ্বাস প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধের উপসংহারে বিশ্ব কবি লিখেছিলেন,"আমি ছড়াকে মেঘের সহিত তুলনা করিয়াছি। উভয়েই পরিবর্তনশীল,মেঘ বারিধারায় নামিয়া আসিয়া শিশু-শস্যকে প্রাণদান করিতেছে এবং ছড়াগুলোও  কল্পনাবৃষ্টিতে শিশু-হৃদয়কে উর্বর করিয়া তুলিতেছে।"
                 ******
"কে মেরেছে, কে ধরেছে সোনার গতরে।
আধ কাঠা চাল দেব গালের ভিতরে।।"

 ছড়াটি পড়লে মনের ভেতরে দোলা দেয়। আবার বোঝা যায় মান ভাঙানো হচ্ছে তাকে আকাশের চাঁদ দিয়ে খুশি করতে চাওয়া হয়নি, ‘আধ কাঠা চাল’ গালের ভেতরে দিতে চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ছড়াকারএখানে কোন কাব্যিকভাবে মান ভাঙাননি। ‘চালের’ কথা বলেছেন! স্বনামধন্য কবি সাহিত্যিকরা একে ত্রুটি মনে করবেন সন্দেহ নেই, কিন্তু এখানে অসামঞ্জস্য মনে হচ্ছে না। এই সরল-স্বাভাবিক পদকেই রবীন্দ্রনাথ ভালবেসেছিলেন।  ক্ষুধিত সাধারণ মানুষ আকাশের চাঁদ-তারার চেয়ে ‘আধ কাঠা চাল’ বেশি পছন্দ করবেন এটাই স্বাভাবিক। এই ছড়ায় আমরা তৎকালীন গ্রামবাংলার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও বুঝতে পারি।
                ******     
"মাসি পিসি বনগাঁবাসী, বনের ধারে ঘর।
কখনো মাসি বলেন না যে খই-মোয়াটা ধর।।
কিসের মাসি, কিসের পিসি, কিসের বৃন্দাবন।
এত দিনে জানিলাম মা বড়ো ধন।।"

এখানেও কঠোর বাস্তববোধ প্রকাশিত হয়েছে। মাসি পিসিরা খাওয়ার জিনিস অর্থাৎ খই বা মোয়া কিছুই দেন না। এই অভিজ্ঞতার পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ‘মা’ই সবচেয়ে আপন। এখানেও বোঝা যায় সুজলা-সুফলা বাংলায় সাধারণ মানুষের গোলা ভরা ধান ছিল না। তাই মেয়েদের ছড়ায় বার বার খাদ্যদ্রব্যের কথা এসেছে। তাই বলে দারিদ্র্যের কষাঘাতে তাদের সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে যায়নি।
                 ******
"নোটন নোটন পায়রাগুলি ঝোটন রেখেছে,
বড়ো সাহেবের বিবিগুলি নাইতে এসেছে।
দু পারে দুই রুই কাৎলা ভেসে উঠেছে,
দাদার হাতে কলম ছিল ছুঁড়ে মেরেছে।
ও পারেতে দুটি মেয়ে নাইতে নেবেছে,
ঝুনু ঝুনু চুলগাছটি ঝাড়তে নেগেছে।
কে দেখেছে,কে দেখেছে, দাদা দেখেছে।
আজ দাদার ঢেলা ফেলা, কাল দাদার বে।
দাদা যাবে কোন্‌খান দে, বকুলতলা দে।
বকুল ফুল কুড়োতে কুড়োতে পেয়ে গেলুম মালা।
রামধনুকে বাদ্দি বাজে সীতেনাথের খেলা।
সীতেনাথ বলে রে ভাই, চালকড়াই খাব।
চালকড়াই খেতে খেতে গলা হল কাঠ,
হেথা হোথা জল পাব চিৎপুরের মাঠ।
চিৎপুরের মাঠেতে বালি চিক্‌চিক্‌ করে,
চাঁদমুখে রোদ নেগে রক্ত ফেটে পড়ে।"

সুদূর কাল থেকে আজ পর্যন্ত এই ছড়া যারা আউড়িয়েছে এবং যারা শুনেছে তারা একটা অর্থের অতীত রস পেয়েছে; ছন্দতে ছবিতে মিলে একটা মোহ এনেছে তাদের মনের মধ্যে। সেইজন্যে অনেক নামজাদা কবিতার চেয়ে এর আয়ু বেড়ে
চলেছে ৷
প্রত্যেক লাইন যেন স্বপ্নের মত ৷দুই মেয়ে চুড়িতে ঝুনঝুন শব্দ করে চুল ঝাড়ছে ছবি হিসাবে সত্য কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা হিসাবে স্বপ্ন ৷স্বপ্ন রচনা করা বড় কঠিন ৷মনে হতে পারে যেমন তেমন করে লিখলেই ছড়া লেখা যেতে পারে ৷যেমন-তেমন ভাব পাওয়া সহজ না ৷তাই ছড়া লেখা যার পক্ষে সহজ- সত্যি সহজ কিন্তু যার পক্ষে একটু কঠিন তার পক্ষে অসাধ্য ৷
                 ******
"দোল দোল দুলুনি/রাঙা মাথায় চিরুনি/বর আসবে এখনি/ নিয়ে যাবে তখনি/কেঁদে কেন মর/আপনি বুঝিয়া দেখো কার ঘর কর ৷"

কন্যা শিশুকে কোলে দোল দিতে দিতে মায়ের চোখে জল চলে আসে , কন্যাকে পাত্রস্থ করার সেই বিদায় লগ্নের মুহুর্ত ৷তখন একটাই সান্ত্বনা এমনি চিরকাল হয়ে আসছে ৷
                 ******
"আয় আয় চাঁদ মামা টী দিয়ে যা /চাঁদের কপালে চাঁদ টী দিয়ে যা/মাছ কুটলে মুড়ো দেব/ধান ভানলে কুঁড়ো দেব/কালো গোরুর দুধ দেব/দুধ খাবার বাটি দেব/চাঁদের কপালে চাঁদ টী দিয়ে যা ৷"
মা,দিদিমা,ঠাকুমাদের মুখের এই ছড়া শুনতে শুনতে এক সময় অামরা ঘুমিয়ে পড়তাম ৷ঘুম জড়ানো চোখে মনে হত চাঁদ মামা বড্ড নিরস ! মনে হত মায়ের ডাকে আসে না তো টিপ দিতে ৷তবে এ কোন চাঁদ ?বাঁশ বাগানের মাথায় থাকা চাঁদ ?তবে কি বাঙালি ঘরে মায়ের ভাই মাতুল চাঁদ মামা!হতে পারে দূরের আকাশে রূপোর থালার মত বৈজ্ঞানিক মতে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ !পরী অপ্সরী দের মনের গভীরে যার যাপন !যে, সমস্ত সুর লোকের কাব্য লোকের সুধারস নিজের রূপোর থালায় রক্ষা করছে !সেই শশী শশাঙ্ক কে—মাছের মুড়ো,ধানের কুঁড়ো, গোরুর দুধ ইত্যাদি প্রলোভন দেখাতে কে সাহস পেত ? আমরা হলে হয়তো অনেক দুর্লভ পদার্থের ফর্দ করতাম ৷নতুবা এখনকার কবিরা কবিতার বা ছড়ার চাঁদকে মিথ্যে প্রলোভন দেখানোর সাহস করত না ৷ হতে পারে ছড়াকার রা আমাদের মত বিশ্বাসহীন ছিলো না৷
                 ******

খোকা যাবে মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে/ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে/মাছ নিয়ে গেল চিলে ৷

ছোট বেলায় পড়া কিশলয় বই এর এই লাইন আজও ছবির মত ভেসে ওঠে মনের কোণে ৷ক্ষীর নদীর কূলে মাছ ধরতে গিয়ে খোকা কি সংকটেই না পড়েছিলো ৷ ক্ষীর নদীর ভূগোল খোকা আমাদের থেকে নিঃসন্দেহে ভালো জানে ৷যে নদীই হোক ,সে যে নিজের থেকে চারগুণ বড় ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে গেছে সেটাই যথেষ্ট ৷তার উপর জল থেকে কদাকার কোলা ব্যাঙ উঠে খোকার ছিপে টান দিয়েছে এবং অন্য দিকে চিল উড়ে এসে ছোঁ মেরে মাছ নিয়ে যাচ্ছে ৷সেই মুহুর্তে খোকা হাত দুটো চিলের উদ্দেশ্যে তুলে,মুখের করুণ অবস্থা, এ দৃশ্য কল্পনার জগতে আজও বাস্তব অবাস্তবের পার্থক্য থাকে  না ৷
                  ******
"আয়রে আয় টিয়ে/নায়ে ভরা দিয়ে/নায় নিয়ে গেল বোয়াল মাছে /তা দেখে দেখে ভোঁদড় নাচে /ওরে ভোঁদড় ফিরে চা/খোকার নাচন দেখে যা ৷"

টিয়া পাখি নৌক চড়ে আসছে হঠাৎ গভীর জল থেকে বড় বোয়াল মাছ উঠে, বলানেই কওয়া নেই নৌক নিয়ে চলে গেল ৷রেগে গিয়ে ব্যতিব্যস্ত টিয়া মাথার পালক ফুলিয়ে,পাখা ঝাপটিয়ে চিৎকার করে আপত্তি জানাচ্ছে ৷টিয়া বেচারার দুর্গতি ও বোয়াল মাছের অভদ্র ব্যবহার দেখে ,দুর্বার গতিতে ভোদড়ের অসাধারণ নাচ ৷সেই নিষ্ঠুর ভোদড়টিকে নাচ থামিয়ে খোকার নাচ দেখার জন্য ফিরে চাইতে বলা হচ্ছে ৷ এই দৃশ্য সুন্দর সুর দিয়ে গাইতে ইচ্ছা করে অথবা মনে হয় তুলির টানে এঁকে ফেলি ৷কিন্তু কল্পনার চিত্রের এই সকল বাল্য সরলতা রক্ষা করে আঁকতে পারার মত এমন চিত্রকর পাওয়া দুর্লভ ৷
                ******
রবীন্দ্রনাথের মতে "ছড়ার দেশে সম্ভব-অসম্ভবের মধ্যে সীমানা-ঘটিত কোন বিবাদ নাই। এগুলো নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হয়ে আসছে। এতে না আছে তত্ত্বকথা বা নীতিপ্রচার ৷" অর্থাৎ নিয়মের বেড়াজালে ছন্দ-অলঙ্কারের নিরলস পরিশ্রমে এ ছড়াগুলো রচিত হয়নি। এগুলো মানব মনের বিশেষ করে মেয়েদের মনের অনায়াস অথচ নান্দনিক প্রকাশ। বাংলা কাব্যসাাহিত্যের আদি নির্দশন তো এই ছড়াগুলোই, যা পরিবর্তিত হতে হতে বিবর্তিত হতে হতে আজ পুরাতন হয়েও নতুন।

শিশুরা যেমন কথার খেই হারিয়ে ফেলে, এই ছড়াগুলোতেও কথা, ভাব, ছন্দের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। আছে টুকরো টুকরো ছবি। যা শিশু মনকে শান্ত-উৎফুল্ল করে। গ্রীক কবিগণ এবং মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘুমকে স্বতন্ত্র মানবীরূপে কল্পনা করেছিলেন । তবে এ কথা ঠিক যে গ্রামীণ যে মেয়েরা এই ছড়া মুখে মুখে রচনা করেছেন তারা মধুসূদন তো পড়েনইনি, গ্রীক সাহিত্যের নামও শোনেননি। এতে আমরা খুব ক্ষীণ কণ্ঠে হলেও বলতে পারি কবিদের দার্শনিক বোধ একই থাকে। তাই অনেকের মধ্যে তাঁরা স্বতন্ত্র। এই ছড়াগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের কালেই। তাই তিনি এগুলোকে সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কারণ ইংরেজ শিক্ষার ফলে মানুষ দেশীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে অনেকটা অবজ্ঞার চোখে দেখছিলেন। তাই এগুলো বাঁচানোকে তিনি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

7 মন্তব্যসমূহ

  1. কি দারুন লিখলে !! খুব ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন
  2. অপূর্ব অপূর্ব লিখলে। ছড়াগুলো আজও মায়েদের মুখে আদুরে সোনার জন্য শোনা যায়।

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো লেখা । তথ্য ভিত্তিক এবং সাবলীল। রবী ঠাকুরের এই সংগ্রহের কথা ওনার প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। এ লেখা পড়ে আবার ও ভালো লাগে।
    প্রসঙ্গত বলি আমাদের দেশে বাংলায় যে সমস্ত ছড়া রচিত হয়েছে তার এই লোক ও কালচারের ছড়া ভিত্তিক দিকটি বাদ পড়ে থাকে সত্যেন্দ্রনাথ নাথ দত্ত এবং সুকুমার রায়। আমার এখনও মনে হয় সুকুমার রায়ের ছড়া যদি সঠিক অনুবাদ হোত তবে আমাদের দেশে আরও একটি নোবেল পদক আসতো।
    যাইহোক উপরের লেখাটি বেশ খেটে লেখা বোঝা যায়।

    উত্তরমুছুন
  4. সত্যি দাদা
    আরো নোবেল আসতো

    উত্তরমুছুন
  5. ভীষণ সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ পরিশ্রমী লেখা শুভ কামনা

    উত্তরমুছুন