পোস্ট বার দেখা হয়েছে
শরৎ বিষয়ক
দেবলীনা
১।।
প্রবাহ হয়েই বয়ে গেছো , অক্ষয় পুরুষ তুমি নও
নিয়মমাফিক পথে, জমা করে গেছো পলি
সেইসব বীজে আজ অঙ্কুর মুকুল
তোমার আবহে গাঁথা প্রাচীন শিকড়ে
ফুল ফল পাতা - শাখার আড়ম্বর।
আজ শারদ প্রভাতে করপুটে তুলে নিই
তিল জল, নত হই
গ্রহণ করো এ অর্ঘ্য , হে আদি পুরুষ।
২।।
তুমি আসবে বলেই ,চারদিক হাট করে খোলা
তুমি এসে যদি ডাকো, অথচ সাড়া না পেয়ে
যদি ফিরে যাও ....
এসব দুর্ভাবনায় আমি রাত ভোর জাগা!
ভোরের আলোয় পদ্ম আভা ফুটে উঠতেই
শিউলির ঘ্রাণে বাতাস আলোড়িত হতেই
আমি শুনতে পেলাম তোমার চরণধ্বনি।
তবে তুমিই কি সেই, পরম আকাঙ্খিত শারদলক্ষ্মী !
৩।।
মিহি রোদ হেলান দিয়েছে এই শার্সি জানলায়
ঠাকুর দালানএসে ছুঁয়েছে ফিরতি পথে
আলো আঁধারি ছায়ায় ঢাকা ঈশ্বরীর মুখ
রঙের প্রলেপ
মৃন্ময়ী স্বরূপ
সেই সবদিন গুলো বড়ই সাবেক ছিল!
মনে পরে ,
নাট মন্দিরের,গোল বারান্দার ধাপে ধাপে
রঙ আলপনা
চিন্ময়ী মায়ের সর্বংসহা সে মুখ
পরণে ঢাকাই শাড়ি,কপাল সিঁদুরে লাল টিপ
আলতা রাঙানো পায়ে,নূপুরের রিনিরিন শব্দে
মিশে যাচ্ছে, ওই মূলাধার শক্তি রূপে !
৪।।
এ শরতে সব আছে ,পরিপাটি সাজ
আকাশে মেঘ কেশর , শিউলি আহ্লাদ
কাশের হিল্লোল , আগমনী সুর!
অথচ আমরা আজ , ভীত এক অনড় অসুখে
একে অপরকে দূরত্বে বেঁধেছে
জীবনের ছন্দ প্রায় স্থবির করেছে !
তবু শরতের আগমনে আমরা বিহ্বল।
4 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ লেখা
উত্তরমুছুনএকরাশ মুগ্ধতা
ভীষণ সুন্দর
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনবাহ্ অপূর্ব স্মৃতি মেদুর এই অনুভব। চারটি লেখাই খুব সুন্দর । শারদ শুভেচ্ছা বন্ধু ।
উত্তরমুছুন