পোস্ট বার দেখা হয়েছে
এখন শ্বাসমূলে বেঁচে থাকা
রনজিৎ কর
ঝুলন্ত উপত্যকায় দাঁড়িয়ে
হিমশৈলের সাথে ঘর বাঁধার সাধ ,
সূর্যের আলো দেখে অস্থির স্নায়ু
ভাবনার পাহাড়ের বোঝা টানে ;
ক্লান্ত চোখে শান্তি নেই ,
সারা শরীর জুড়ে আতঙ্কের ছাপ
প্রতিটা লোমকূপে তার আত্মপ্রকাশ ;
কঙ্কাল দেহ থেকে হৃৎপিন্ড ছিটকে বেরিয়ে যেত চায় ,
অন্ধকারের গভীরতা মেপে -পা টিপে চলার সময় বোধ হয় শুরু,
ভাদ্রের ভোরে প্রতিটা মুহুর্ত উপলব্ধির ভাষায় বন্দি ,
পরিযায়ী পাখিদের অচেনা পথে ব্যর্থ প্রচেষ্টা–
ভর দুপুরে আশা হারায় ;
খরস্রোতা নদীও উৎসে চিরযৌবনা , প্রাণচঞ্চলা ,
মোহনায় ম্লান ।
শূণ্য মরুভূমি- গভীর নিম্নচাপের দিকে চেয়ে ,
শান্তির বৃষ্টির অপেক্ষায় ।
পড়ন্ত রোদ্রে কপোত কপোতীর ঠোঁটের আঁচড়ে চাঁদের স্বপ্ন ,
ভাবনারা জ্যোৎনায় ফাঁকে উঁকি মেরে
মেঘের আড়ালে ঝুঁকি নিতে চায় ;
দূরত্ব জেনেও দিগন্তে খেয়া বেয়ে
শরতের মেঘে ভেসে যাওয়ার সুখ
দু-চোখে তখনো আসে ;
নদী -নালা ,খাল -বিল পেরিয়ে সমুদ্রে গা ভাসায় ।
গাঙ চিল দৃষ্টিভঙ্গি ,
পুরোটা এক ছোবলে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে
ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারায় ;
নাহলে জয়োল্লাসের অহমিকায় ফেটে পড়ে ।
1 মন্তব্যসমূহ
খুব সুন্দর
উত্তরমুছুন