রামপুরহাট গণহত্যার প্রতিবাদে বিশেষ কবিতা সংকলন




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

নর রাক্ষস 

জয়তী 


দুষ্টু ছেলে মেয়েরা একদম বায়না করেনা৷ চুপ করে শুয়ে থাকো। নিশ্বাসের আওয়াজ যেন শোনা না যায় -


কেন ঠাকুমা ওরা কি সত্যি সত্যি আমাদেরও মেরে ফেলবে? 

তিতলি বলে উঠলো, মা বলেছে ওই রাক্ষস গুলো তোমার গল্পের মতো মিথ্যে। 


ঠাকুমার ঠান্ডা আঙুলগুলো ওদের মুখে চাপা দিয়ে বলতে লাগলো চুপ... চুপ। কারা যেন এদিকেই আসছে। একদম চুপ। 


বলতে বলতে ঠাকুমা পাথরের মূর্তির মতো খাটের এককোণে জড়সড় হয়ে বসে থাকলো। কিছু আন্দাজ করে  মা বাবা, কাকা পিসিকে নিয়ে চারিদিক আটকে একঘরে। সবাই আতঙ্কে প্রহর গুনছে। 


বুবাই আর তিতলি ধীরে ধীরে জানলার ফাঁক দিয়ে দেখতে লাগলো সেই পরিচিত মানুষগুলো। যাদের কতবার ডেকেছে কাকা, জেঠু, দাদা....। তারা এক এক করে পাল্টে যাচ্ছে। 

বড়ো বড়ো দাঁত, নখ, ভীমাকৃতি দেহ, দুই চোখে জ্বলছে আগ্নেয়গিরি। ওরা দল বেঁধে বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে.....


ঢুকে পড়েছে ওরা ঘরে। মা বাবা কাকা ঠাকুমা ভীষণ কাঁদছে। ওদের কাছে হাতজোড় করছে। ওদের নৃশংস হাসি ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে। দাউদাউ আগুন ঘিরে ফেলেছে সবাইকে। 


বুবাই দাদা ওরা কাঁচা মাংস রান্না করে খায়। এটা ঠাকুমা জানতো না। 

কেউ যে সাড়া দিচ্ছে না আর। 


তিতলি আমার হাতটা মুঠোয় ধরে রাখ। চল আমরা অচিন পুরের দিকে হাঁটতে থাকি...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ