পোস্ট বার দেখা হয়েছে
মাতৃভাষায় রসিকতা
সুকান্ত দে
গতরাতে বাংলা বমি করতে করতে
যে ঝুঁকে পড়েছিল ড্রেনে
সে কখনও আমার কবিতা পড়েবে না
যে রাজনৈতিক নেতা আমার কবিতা শুনে
পিঠ চাপড়ে ছিলেন
তাঁকে বলতে পারিনি
ছোটোবেলায় চাপড় মেরেই মা ঘুম পাড়াতো
হিজরেরা এসে আমার কাঁচা হাড়ে ঝিকিয়ে গেছিল
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য
আমার হাড়গুলো তবলচি আর ঢোলবাদ্যের চাঁটি
আলাদা করে চেনে
সেবার বাংলাদেশ থেকে রমজানদা পল্টুদা
লিটল ম্যাগাজিন মেলায় এসে বলেছিল
অভিজিতের ওপর চপার চালানো আততায়ীদের দিকে
প্রথম ছুটে যায় ওই বৃহণ্ণলারাই
ওঁরা তালির ভাষা বোঝেন
আসাম থেকে বাংলার অধ্যাপক
জ্যোতির্ময়-কান্তার-মেঘমালারা এসে
উপহার দিয়েছিলেন রঙিন ললিপপ
আমার অবাক মুখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন
কাঠিটা বাঁশ
লজেন্সটা জিরো ওয়াটের রঙিন বাল্ব
দুয়ে মিলে বাংলাভাষার আকাশদীপের রেপ্লিকা
আপনারা বন্দে বাংলার লোক
চুষুন চুষুন, দিব্যি লাগবে
আমার হতভম্ব মুখের সামনে সম্মোহনের ভঙ্গি করে
একটা কয়েন বের করে জিজ্ঞেস করলেন
বলুন, হেড না টেল?
আমতা আমতা করে ভাবছি
কী বললে উনি খুশি হবেন
সোল্লাসে বলে উঠলেন
একটা ২১ শে ফেব্রুয়ারী
অন্যটা ১৯ শে মে
তারপর কয়েনের দুপিঠ দেখিয়ে বললেন
এটা শোলে ফিল্মের সেই বিখ্যাত কয়েন
চিনতে পারেন?
রসিকতায়
আমি গব্বর সিং এর মতো
হা হা করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম
0 মন্তব্যসমূহ