নীলাঞ্জনা ভৌমিক




পোস্ট বার দেখা হয়েছে





 একদিন হঠাৎ

আবার বহুদিন পরে
একদিন হঠাৎ ,
দেখা হয়ে গিয়েছিল
তোমার সঙ্গে।
পুরোনো সেই একই পথ ধরে,
নেমে এসেছিলে তুমি-
সায়াহ্ণের রক্তিম অবকাশে,
বকুল ঝরেছিল আবার -
টুপ টুপ করে---
হেসেছিল চাঁদ সান্ধ্য আকাশে
একরাশ পাতার পিছনে।
ঘরে ফিরে এসেছিল ক্লান্ত পথিক
দীর্ঘ পথ পেরিয়ে
দেখেছিল সে---
আঁধার ঘরে মোমের আলোর মত
তার প্রিয়ার অধরে,
উষ্ণতার আহ্বান!
চোখে তার কুল ভাঙা
ঢেউয়ের উচ্ছ্বাস!
জ্যোৎস্না হয়ে মিশে গিয়েছিল
তার শ্বেতবিন্দু ঝরা শরীরে।
ধীরে ধীরে নেমেছিল
সুদূরের বনান্তিকায়
রাতের নীরব বিষণ্ণতা।

' কেমন আছো ? ' তীক্ষ্ম সহাস্য প্রশ্নে
 দ্রুত সচকিত আমি ,
ফিরে দেখি তুমি!!
পৃথিবীর সব রঙ মুছে দেওয়া
সুরহীন বিবর্ণ জীবনের
এক বিমূর্ত হতাশা।
কোন এক আদিম রোমান্টিকতায়
ভরে উঠেছে তোমার দুচোখ!

স্তব্ধ সেদিন বিষণ্ণ কোকিল
স্পন্দনহীন রাতের আকাশ
মেঠোপথে পাণ্ডুর চাঁদের ছায়া
সন্ধ্যায় কাক হায়! ঘরে ফেরে নাই।
হৃদয় আমার দেহ ছিঁড়ে উড়ে গেল
ঐ দূর - দূর নীলিমায়--নক্ষত্রের দেশে।

' কোনটা শুনলে খুশি হও,
  ভালো না খারাপ ? '
  চকিত চিত্তে ফিরলে তুমি---
 তোমার মুখে তখন সোনালি বকের ডানায়
 ভর করে নেমে আসা নীল অন্ধকার।
 কণ্ঠ ভিজে ওঠে ধ্বস নামা পাহাড়ের-
                                     চাপা কান্নায়।
'কেন ? তোমার নিজের কথা বলো '
আমার চোখে তখন ধূসর অতীতের
 রক্ত ঝরা ব্যথার ইতিহাস।
রূপকথার রাজ্যে মেতে ওঠে দাবানল।
বিদ্রুপ কটাক্ষ করল অনাবিল স্নিগ্ধতাকে !
নরম স্বরে জাগল বিক্ষুব্ধ আলোড়ন-
' আমার ন্যায় কি তোমার ন্যায় ?
আমার প্রেম তোমার সাগরের একবিন্দু জল
মুহূর্তের কটাক্ষে বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়েছিল! '
' আমার সারাজীবনের আদর্শ
 তোমার মুহূর্তকালের রসিকতা !'
' থাম! ' সজোরে নিক্ষেপ করলে তোমার বাণ
' কি বলতে চাও তুমি ? '
 ফিকে হয়ে এল নিশার আঁধার
আগামী ভোরের তৃষ্ণায় তখন
  সকরুণ মিনতি----
" হৃদয় খুঁড়ে জাগিও না আর
  বেদনা জাগানো ভালোবাসা।"


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ