পোস্ট বার দেখা হয়েছে
হে আদি অনন্ত
শুভ্রাপাল
মহালয়ার সন্ধিক্ষণে মায়াময় প্রকৃতি ,
স্রষ্টা তখন দিকচক্রবালে ছবি আঁকায় ব্যস্ত,
যোজন দূরের ঐ দুধ'সাদা বরফ'চূড়া -
নীচে সারিবদ্ধ সবুজ পাহাড়ের ঢেউ;
পদতলের রুক্ষ ধূসরতা ছূঁয়ে বয়ে চলেছে
তটিনী তরঙ্গিনী, কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারিধার ।
এমন সময় অরুণিমা উঁকি দিলো 'পুবে ' ;
ছড়িয়ে পড়লো সপ্তডিঙার রং -
তুলির ওঠা পড়া গেলো থেমে ,
চোখ তুলে আকাশের দিকে চাইলাম -
কোমল কোড়ির সুখ স্পর্শে -
বাস্তবিক অনুভূতি হারালাম ।
বনমালী আমি, শব্দ ফুলের কারবারি,
বৃষ্টি ধারার ছন্দ মেখে মনের ক্যানভাসে ঢালি রং,
নতুন আঙ্গিকে ফোটাই কোমল সুকৃতি -
আদি অনন্তের ঢেলে দেওয়া রোদ্দুরে ।
বিস্ময়াবেশে তুলে রাখি তোমার চিত্রপটের ধরন;
গদ্য পদ্যের এই কাব্যিক ঘরে, পরম মমতায় ।
মহামিলনের প্রাতে, সৌজন্যের সাথে
কিঞ্চিত আবেগী মাধুর্য মিশিয়ে সারি পূজা ;
হে লাবণ্যময়ী মাতা --
ঋতুচক্রের এই মেলে ধরা সৌন্দর্যায়ণের মাঝে
মিশে আছো তুমি, সৃষ্টি স্থিতি লয়ের অধীশ্বরী দেবী,
বরাভয় দায়িনী, আদ্যাশক্তি মহামায়া চণ্ডিকা .
1 মন্তব্যসমূহ
অনবদ্য প্রকাশ
উত্তরমুছুনএকরাশ মুগ্ধতা
শুভ শারদীয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা