পোস্ট বার দেখা হয়েছে
সুদূর ঝর্নায় স্নান
নন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়
অনেক কথা ভেসে যায় আবার তারা হারিয়ে যায় অতলে ,
নতুবা জেগে থাকে মৌন বেদনার জলকনা।
ছন্দোবন্ধন , শব্দবন্ধনের মায়াজালে ধরা পড়ে একদিন।
প্রতি দিন প্রতি রাতের কাছে রোজ হারিয়ে যায়
ক্ষনস্হায়ী বেলাভূমি থেকে অনেক অনেক দূরে ।
কোন এক পাখি যেন তার সুদৃশ্য পালকটি তার দেহ
থেকে ফেলে দেয় , আর তার দিকে ফিরেও তাকায় না।
আদিগন্ত বিস্তৃত এক মৌন মিছিল , অবাঙ্মানসগোচর্।
নিরন্তর ঝরে যাওয়া অতীত থেকে কালান্তরে, ভবিষ্যতে
চরাচর জুড়ে একাকী কান্নার আওয়াজ গুমরে ওঠে।
কেবলই আছড়ে পড়ে জলশ্রোত , গ্রাস করে গ্রামের
পর গ্রাম , গিলে খাচ্ছে কাঙালের ভিটেমাটি সর্বগ্রাসী ক্ষুধায় ।
সবাই আমরা কালান্তরের পথিক ।
ক্ষনস্হায়ী দিন ক্ষনস্হায়ী রাত মুহূর্ত পল অনুপল
সবাই চলমান। সমস্ত তৃষা ক্রমে ক্রমে শান্ত বাষ্পীভূত।
একেলা নারী তার সন্তান কে আঁকড়ে বাঁচাতে চাইছে।
একদিন মৃত পাখির মতোই হারিয়ে যাবে এ জীবন
আত্মীয় স্বজন বন্ধু সন্তান সবাইকে ফেলে ।
কীর্তিমানের অবলুপ্তির ইতিহাস পাথরের
গায়ে খচিত আছে । বঞ্চনার চাপা ফিসফাস , রক্তের
নদী কালের গহ্বরে ঢেউ তুলে মিলিয়ে গেছে কোন্ অতীতে ।
পড়ে আছে স্হাপত্য কীর্তির কিছু শৈল্পিক
নিদর্শন । অতীতের ভেঙে পড়া ইতিহাস পাথরের গায়ে
নিশ্বাস ফেলে। কান পাতলে শোনা যাবে যেন কতোদিনের চাপা কান্নার নির্ঝরিনী বয়ে নিয়ে চলেছে
কতো শোক কতো পাপ কতো সুখ দুঃখের ভৈরবী।
0 মন্তব্যসমূহ