দর্পণ || কবিতা গুচ্ছ ~ বিজয় সিংহ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

অপ্রাকৃতের জানলা দরজা


চন্ডাল শলাকা তুমি দুমুঠোয় তীব্র ধরেছিলে

কৃমিকীটের সংসার:

বর্ণহীন লাফ মেরে আমি

আন্জুমানে ফিরেছি, দুনিয়াদারি 

জন্মান্ধের, দাঁড়িয়ে দেখেছে


অংশুমান চ্ছন্ন এই নাপাক ধোঁয়ায় 

 রজনী রাত্রি ও রাত রাস্তা থেকে

রাস্তা ঢুঁড়ে মরে

হত্যার চেয়েও মোহ্যমান

তবে কাকে করেছিলে?


উন্মাদ মেঘের মধ্যে

পালিত পালক ফেল তাই

মেশিনের দগ্ধতন্ত্রী এতটা বিকল 

লোকযন্ত্রে ওঠার আগেই 

স্বরযন্ত্রে রেখে আসো বিষ 


কারা কারা দীর্ঘতম লঘুপথ

পেট্রলে ভেজায়

কারা কারা জোনাকির আলো মাত্র

চেয়ে ফিরে গেছে

তোমার প্রসাদী অশ্রু 

জড়িয়ে মড়িয়ে রাখে এ বঙ্গীয় চাঁদ


কে দাহ্য ছড়িয়েছে, আজ আর

এ প্রশ্ন করোনা, অবান্তর আগুনেরা

বিস্ফারিত হয়েছিল ফুলেদের

গর্ভচ্যুত হবার সময়


তারও আগে বর্ষাকাল সমর্পিত হলে

সারিন্দায় কী যে সুর উঠেছিল

অগ্রাহ্য করেছ তুমি সেইসব

আদিম মূর্ছনা


কেউ দাহ্য ছড়িয়ে তো ছিল

তারওচেয়ে খতরনাক গুপ্ত বসুধায়

পিশাচের জিহ্বা ঢুকে 

ছড়ায় সমরকন্দ ভেতরের ঘরে


মায়ের যা কিছু বই সেলাইমেশিন 

ভস্ম হয়ে উড়ে যায় এমন অনন্তপুর

যেখানে জখম ছেঁড়ে নিজেকেই

রক্তগঙ্গা বহায়, শ্রাবণ

তার সবটুকু জানে

সমস্তটা ধরেছিল অলীক অক্টেভ


মাংসদণ্ডের ওপর চক্র হয়ে আছ

সেইহেতু লক্ষ্যই করনি

বাতিঘরের লাইট কত নীচু

কতখানি ম্লান

আর ডানা ফেলে উড়ে গেছে 

বিদেশি পাখিরা

আর জল-জঙ্গলের মধ্যে

গেঁড়ে বসে বিষন্ন বারুদ

আর মেষ-দেবতার শাপ 

কুড়োতে কুড়োতে আঙুলেরা হারিয়েছে ভাষা


কালচক্রে ১২ খন্ড হয়ে আছে

মৃত আয়নারাও

পারদের বিষ, লক্ষ্যই করনি তুমি,

ঝলমল করেছে উঁচু

দেবতার ছাতে


তাহিতি যুবতী ছিলে

এ জন্মে ছড়িয়েছ তার

অলৌকিক ঘ্রাণ

আমূল ময়ূর হয়ে যারা সাহাদের 

পোষ্য তারা ঠিক জানে রহস্যের মূল

আর জানে তেতলার ছাদ ও রাতের

ঝরনা খোলা বেঁটে যুবাটিকে


প্রবাসের অন্তহীন শেষ জেনে

দেখো কুয়াশায়

গোপন বাগান বসিয়েছি

রতিপুষ্প ফোটার আগেই যেন

ভ্রমহীন ঝরে যেতে পারি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ