দর্পণ || কবিতা গুচ্ছ ~ শ্যামল দাষ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

কলাচর্চা কেন্দ্র


সত্যি সত্যি আমার নিজস্ব কোনো কলাচর্চা কেন্দ্র নেই

আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সবিস্ময়ে অন্যদের সুশ্রী 

কলাচর্চা কেন্দ্রগুলি দেখি - দেখি আর ভাবি 


গোলাকার এই ব্রম্মান্ডে এখনো কতো কিছুই না 

রয়ে গেছে না দেখার বাকি তাহাদের শীতল শরীর 

থেকে ঠিকরে বেরোয় অতি উজ্জ্বল আলোর এক


 আশ্চার্য অরুণ দ্যুতি আমি দেখি আর ভাবি 

ভাবি আমার নিজস্ব কোনো কলাচর্চা কেন্দ্র নেই

আমি গরিব মানুষ ভাড়ায় থাকি বাকিতে খাই, ভীতু। 

====

মাংসের সুঘ্রাণ


কোমল আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে অতুলনীয় এই

মাংসের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিয়েছে সে ভোরের বাতাসে


শ্বাস টেনে টেনে বুকে সুমধুর সেই ঘ্রাণ আমাকেও

মোহিত করেছে মাতাল করেছে বিভোর করেছে 


পোড়া মাংসের স্বাদ ভালোবাসি মনে প্রকৃত রসে।


====

বাহিত জীবন


বাহিত জীবন মানে এক অাশ্চর্য মধুর সুরে

ভোরের সুমিষ্ট সংকির্তন যেন সারাক্ষণ


বাড়ির গ্যারেজে গাড়ি ভক্সওয়াগণ

যতো দূরে যেতে চায় এই মন উচাটন 


কোথাও কোনো বাঁধা নেই সীমানার পারে ঐ

আরো দূর সীমানা পেরিয়ে যেতে যেতে পথে


আরো আরো তীব্র বেগে মন ছুটছে যখন 

ফুয়েল ফুড়িয়ে হঠাৎ থামে সে এ কোণ ষ্টেশন!

====

মেঘে ঢাকা তাঁরা 


বাক্স বন্দি জীবন চিৎ হওয়া যাবে না বারণ

উপুড় হয়েই থাকতে হবে দিন রাত। তাছাড়া


চাড়ালের ঘরে পড়ে থাকা ব্রান্মণীর মন 

উদার আকাশ দেখবেটা কখন কি রূপে তবে


দৈবাৎ যদি কোনো কিছু ঘটে অকারণ দোষে

তাতে নেই নীলের ছোঁয়া দূরে সরে গেছে পাখিরা


আকাশের বুক জুড়ে ঘন মেঘ মেঘের সঘন ইশারা

কাছে দূরে সব খানে কালো মেঘ মেঘে ঢাকা তাঁরা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ