পোস্ট বার দেখা হয়েছে
Ubiquitous
Ms Gargi Saha(C)
The world is enlightened
When the first rays of light
Hits the earth
And we step into a new day
Silence prevails everywhere
I feel 'His' divine presence
Operating through the myriad forms of nature
The dazzling sun, whose rays reaches the darkest corner of the scullery
Effacing darkness, enriching our thoughts
I feel 'His' presence in the magnificent trees
Whose unparalleled tolerance
Moves mankind
Protects, nourishes, heals, satisfies man's hunger
O tree I admire your munificent service to humanity
How you serve selflessly
Indeed God prevails in this benevolence
I feel ''His' presence in the winds, cool breeze
That soothes the sweat of the brow
And harmonizes tiresome souls
I feel 'His' presence in the oceans
That roars, rises, falls infinitely
A home of million flora, fauna
Fishes, dolphins, octopus, sea horses
That dwell peacefully in the waters
Umpteen cultures intermingle
How marvelous is Nature!
I feel 'His ' presence in the steep valleys and tall mountains
That stand proudly signifying determination, courage, loyalty
I feel 'His' presence in the cow
Whose milk nourishes the world
I feel 'His' presence in the honeybee
That collects, hoards, builds honeycomb diligently
I feel 'His ' presence everywhere in everything
In every person, bird, butterfly
'He' is present
Let's find 'Him' in different forms
'He' is always with us
Just attempt to discover the cosmic ecstasy present everywhere
Om Shanti! Om Shanti! Om Shanti!
=====
লাফিং বুদ্ধ
কাকলী দাশগুপ্ত
সৌভাগ্যের প্রতীক 'লাফিং বুদ্ধ' গৌতম বুদ্ধ নয়? তাহলে 'লাফিং বুদ্ধ' কে ছিলেন ?
আমরা অনেকেই চীনের বৌদ্ধ ভিক্ষু লাফিং বুদ্ধকে মহামানব গৌতম বুদ্ধ ভেবে ভুল করি। চীনে বুদ্ধের ধর্ম প্রচারিত হওয়ার পর দক্ষিণ ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু বোধিধর্মের নিকট হতে চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষুরা 'ধ্যান' (চীনা ভাষায় 'চান') শিক্ষা লাভ করেন। সেসময় চীন-ভিয়েতনাম-কোরিয়া হয়ে বৌদ্ধধর্ম প্রচারিত হয়েছিল জাপানেও।
আনুমানিক দশম শতাব্দীতে চীনে একজন জেন সন্ন্যাসী বা বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন, নাম “কেইশি”। তিনি মূলত চীনের জেইজিয়াং প্রদেশের উত্তরে অবস্থিত “ফেঙা” শহরের বাসিন্দা ছিলেন। চীনের লোকাচার মতে জানা যায়, কেইশি বেশ স্থূলকায় ও মুণ্ডিত মস্তকের ছিলেন। তার ছিল থলথলে ভুঁড়ি আর স্ফিত কান। লম্বা ঢিলেঢোলা পোশাক পড়তেন। গলায় জপমালা। কাঁধে সব সময় থাকত একটা কাপড়ের ব্যাগ আর হাতে একটা হাতপাখা রাখতেন। এই ধ্যান বা চান সন্ন্যাসীকেই চীনে 'বুদাই' বা 'পুতাই', ভিয়েতনামে 'বোডাই', জাপানে 'হোতেই' নামে ডাকা হয়। পশ্চিম বিশ্বে তিনি 'লাফিং বুদ্ধ' বা 'মোটা বুদ্ধ' নামে পরিচিত।
অনেকে এই লাফিং বুদ্ধকে গৌতম বুদ্ধ বলে মনে করেন। গৌতম বুদ্ধ ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মানুষ; যেখানে লাফিং বুদ্ধ ছিলেন দশম শতাব্দীর মানুষ। গৌতম বুদ্ধ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ও বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক অন্যদিকে লাফিং বুদ্ধ ছিলেন চীনা বংশোদ্ভূত বুদ্ধ শিষ্য বা ধ্যানী সন্ন্যাসী।
এক অদ্ভুত স্বভাবের সন্ন্যাসী এই লাফিং বুদ্ধ চীনের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। তার কাঁধের ঝোলা সব সময় খাবার, পানীয় বা কোন না কোন উপহারে ভর্তি থাকত। সেখান থেকে তিনি ছোট ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু দিতেন। তাকে দেখলেই ছোট ছেলেমেয়েরা তার পেছনে পেছনে ঘুরত, তাকে ঘিরে থাকত। তার বিভিন্ন মূর্তিতে তার সাথে ছোট ছেলেমেয়েদেরও দেখা যায়।
তার আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো তিনি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে যে কোন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে একাই হাসা শুরু করতেন। তার হাসি এত ছোঁয়াচের মত ছিল যে, তার সাথে সাথে একে একে সবাই হাসতে শুরু করত কিছু না ভেবেই। সারা গ্রাম হাসত এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে। হাসি শেষে গ্রামের মানুষ দেখত, তাদের অনেক হালকা লাগছে। কষ্ট কমে গেছে। গ্রামের মানুষ আগ্রহ নিয়ে তাঁর আসার অপেক্ষায় থাকত। তিনি আবার তেমন কথা বলতেন না, কিন্তু তিনি বুদ্ধের বাণী এক নাগাড়ে মুখস্থ বলতে পারতেন।
চীন-জাপানের লোকাচারে তার একটি অদ্ভুত স্বভাবের কথা কথিত আছে যে, তিনি নির্ভুলভাবে যে কারও সম্পর্কে ভাগ্য গণনা করতে পারতেন। তবে যারা নাকি সত্য জানতে চাইত না, তাদের তিনি কিছু বলতেন না। লোকাচার মতে, তাঁকে সৌভাগ্যের দেবতা মনে করা হয়। তাই বিভিন্ন মন্দির, রেস্টুরেন্ট ও বাড়িতে তাই তাঁর ছবি দেখা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, তবে লোকাচার মতে মনে করা হয়, লাফিং বুদ্ধের এর পেটে হাত ঘষলে সুখ, অর্থ আর সমৃদ্ধি আসে।
বৌদ্ধ ভিক্ষু অত্যন্ত সরল মানুষ ছিলেন ও এত হাসতে পারতেন, তবু ও ক্লান্ত হতেন না। শোনা যায়, তিনি ঘুমের মধ্যেও হাসতেন। হাসি তার প্রাকৃতিক স্বভাবের মতই ছিল। তিনি কোন কৌতুক বা অন্য এর ওপর হাসতেন না। তিনি নিজের ওপর হাসতেন। তার কোন নিজস্ব মতবাদ, আদর্শ, দর্শন ছিল না। তাকে ধর্ম, দর্শন, জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ও তিনি শুধুই হাসতেন। হাসিতেই তিনি সবার মন জয় করে নিতেন, দুঃখ ভুলিয়ে দিতেন। মূলত হাসিতে দুঃখ জয় করাই ছিল লাফিং বুদ্ধের দর্শন।
ছবিতে যে লাফিং বুদ্ধের ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে তা মিং রাজবংশের সময়কালের ও আনুমানিক ১৪৮৬ সালের।
*(★ তথ্যসূত্র :- দ্যা হিন্দু ও ইন্টারনেট ও নিজস্ব।)*
*****************************
তারপর তুমি এসো
মনোজ কুমার রথ ( শ্রীমান অকুলীন )
প্রত্যাখানের মেঘ উড়ে যাক্ দরদি বাতাসে,
মনের আকাশে জমা হোক জলদ মেঘ
ঘাসে বোনা পাখির বাসার মতো...
ভিজে যাব পুরোপুরি দু'জনেই,
প্রশস্থ প্রেমের প্রতি আখ্যানে আখ্যানে লেগে থাকুক
ভালো লাগার সুমিষ্ট আবেশ...
বেশ,এই নীলগ্রহেই আছো,
এই মা-টির কোলেই আছো,
এই প্রকৃতির মাঝেই হেঁটে বেড়াচ্ছ
ঘুম ঘুম চোখে চাওয়া পরীটির মতো......!
যত দেখি,সাধ মেটে না দেখে,
যত ভাবি,কূল পাই না ভেবে,
যত বার পড়তে চাই,পাতা উল্টিয়ে দাও চোখের উপর!
দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে সূর্য;
আর মাত্র একটু সময় বাকী,
তোমার ওই শাদা চুড়িদারের সাথের ওড়নাটির মতন
পশ্চিমে আভা ছড়িয়ে
একটুপরেই ডুবে যাবে সাগরের জলে...
তলে তলে নদীটির বুক দিয়ে বয়ে গেল
ক-ত-খানি স্রোত!
পে'রিয়ে এলাম কত কত নোনতা চন্দ্রভূখ রাত!
কত কত বার সফেদ চাঁদের নীচে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
জ্যোস্নার মতো প্রেম পানে ব্যস্ত দেখলাম
বাঁধনহারা কত কত যুগল!
হোগলপাতায় ছাওয়া সেই বাড়িটা আর নেই,
হাঁড়িটাও রোজ দু'বেলা নিয়ম করেই চড়ে,
বৃষ্টি এসে আমাদের দু'কামরার ছাদের উপর
নর্তকীর মতো নেচে যায় যখন ইচ্ছে হয়,
মায়ের শাড়িতে মুখ মুছে
এখন সকাল ন'টার ট্রেনে রোজ অফিসে যাই...
ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখো,
মাথাটা উঁচু হয়েছে একটু...
মনটা পেকে মিষ্টি হয়েছে হিমসাগরের মতো,
শিরদাঁড়াটা কিন্তু ঠিক আগের মতোই সোজা...
সোজা তাকিয়ে আছি,
নিকটেই ফজলির সুনামে ধন্য সদ্য মুখ পোড়া মালদা,
আর একটুখানি দূরে ওই যে মণিপুর...
মাথা উঁচু করে
আগে গোটা ক'য়েক প্রতিবাদের কবিতা লিখি
শব্দের শরীরে বারুদ ভরে ভরে...
তারপর প্রত্যাখানের মেঘ উড়িয়ে দিয়ে
তুমি এসো শ্রীতমা,
তোমার কোলে মাথা রেখেই
এলোচুলে বাতাপি লেবুর গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে
লিখে ফেলবো মিষ্টি প্রেমের পরিপূর্ণ কাব্যসংকলন...
***************************
অনুক্ত
সঙ্গীতা মুখার্জী
টুঙ্ শব্দে চার্জে থাকা সন্দীপের মোবাইলে একটা ম্যাসেজ ঢুকলো । নিতান্ত অধিকারবোধ থেকেই বিদিশা মোবাইলটা হাতে নিয়ে ম্যাসেজটা পড়ে হতবুদ্ধি হয়ে গেলো। এক লহমায় টুকরো টুকরো হয়ে গেলো সযত্নে গুছিয়ে রাখা স্বপ্ন। সমস্তটাই সে মন দিয়ে পড়লো আর ভাবলো-বিয়ের আগে তার হাজব্যান্ডের কথাবার্তায়, ব্যবহারে কোনোরকম অসংযমতা ধরা পড়েনি।মানুষ এতটা দক্ষ অভিনেতা কি করে হতে পারে!
কোভিডের প্রকোপে work from home- এর কাজ চলছে দুজনেরই । বিদিশা আর সন্দীপ কলকাতার নামী বিদেশী কোম্পানিতে কর্মরত। বছর দুয়েক হলো matrimonial sites-এ সম্বন্ধ করেই পরিবারের সম্মতিতে ওদের বিয়ে । বিয়ের পরে সে অনেক চেষ্টা করেছে সন্দীপের সাথে একান্তে সময় কাটাতে। কিন্তু জয়েন্ট ফ্যামিলির অজুহাত দেখিয়ে সন্দীপ এড়িয়ে গেছে বিদিশাকে ।তার বিবাহিত জীবনের পরিস্থিতি সে কাউকে বুঝিয়ে উঠতে পারে নি। সেই সুযোগ টাকেই সন্দীপের গোটা পরিবার ব্যবহার করেছিলো।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটা করে ফটোশুট ছাড়তে খামতি রাখেনি । সন্দীপ রূপবান হওয়া সত্ত্বেও ওর ছেলে বন্ধুর সংখ্যাই বেশি ছিল । সুন্দরী মেয়ে দেখলেও ফিরে তাকাতো না । এটা বিদিশার নজর এড়িয়ে যায়নি । আজ ম্যাসেজটা পড়ে বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা বিদিশার কাছে স্পষ্ট হল সন্দীপ একজন সমকামী পুরুষ । সে সমকামী কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত। ম্যাসেজগুলো সেখান থেকেই এসেছে । তার বাবা-মা তাকে ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ পুরুষ হিসাবে ঠাঁই দিতে চেয়েছিল সমাজে। তাই এই বিবাহ !পালিশ মানুষের ভিড়ে পরিচ্ছন্ন মানুষ চেনা বড় দায় তাই আজ ঠকতে হলো বিদিশাকে।
তড়িঘড়ি ডিভোর্সের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হল বিদিশাকে। সে জানে সমাজ তার দিকেই আঙুল তুলবে । অভিযোগ উঠবে সেই হয়তো সংসারে মানিয়ে নিতে পারেনি । বাবা মাকে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। তবুও তাকে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।
******************
রামধনু এক পাখা
রীনা ঘোষ
বর্ষারানী! বর্ষারানী! অনেক দিনের পরে
মাঠে পরে ঝরছ তুমি অঝোর ধারে-
চাষির চোখে সোনালি ক্ষেত ভাসে
চাষী বউ ভুরুর মাঝে সোনালি িটপ পরে।
বর্ষীরানীর গাছের পাতায় নৃত্যকলা শুরু
টাপুর টুপুর নাচের তালে, গাছের শাখা দোলে।
তোমায় পেয়ে সবাই খুশি,সবাই আত্মহারা।
দুটি মাসের তরে তোমার আসা-যাওয়া
তারি তরে সারাটা বছর অধীর নয়নতারা।
শুষ্ক ধরা সিক্ত করে, চাষির মুখে হাসি দিয়ে
নদীর বুকে ঢেউ তুলে, গাছের পাতায় দুলে দুলে
হঠাৎ চলে যাওয়া।
আমি ভাবি আমায় তুমি কি দিয়ে গেলে?
বর্ষা রাতে একলা আমি মেঘ হয়ে ভাসি
খানিক ভেসে হারিয়ে যাই মন কেমনের দেশে।
সেই দেশেতে বর্ষা শেষে দেয় না দেখা
সাতটি রঙের খেলা।
কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যতেক চাওয়া পাওয়া
খোলা ছাদে ঝরঝরিয়ে ভিজি,
থরথরিয়ে কাঁপি।
কেউ আসে না শুকনো কাপড় হাতে
বড্ড একা আমি।
বর্ষারানী !এবার এলে সঙ্গে এনো
রামধনু এক পাখা
উডিয়ে দিতে যতেক মন কেমনের জ্বালা।
****************************
কবিতা নিয়ে
নীল ধ্রুবতারা
কলম লিখে কাব্যকথায় মনের মতো কথা,
শব্দগুলো বাক্যবানে কখনো লাগে ব্যথা,
মনের ঘরে ভরাগাঙে জোয়ার ভাটার টান,
সখের তরী বাইতে এসে দেখলো আকুল বান,
খড়কুটো সব যাচ্ছে ভেসে হাজার মৃতদেহ,
সবাই বলে মহাবিপদ সামনে রায়না কেহ,
কারো হাতে বড়শি কেউবা রাশকী বাঁধে নিচে!
কেউবা ডাকে আপন জনে
কেউ জালের দড়ি খিঁচে-
সরসর করে বইছে নদী আপন কলতানে,
ভরাগাঙে জোয়ার যেন উপচে ভাদুরে বানে,
সখের বৈঠা কেউবা টানে স্রোতের বিপরীতে,
কলম কথা থমকে গেছে অকাল বর্ষা রাতে,
সুখহীন ঘুম স্বপ্ন হাজার কালো হাতের থাবা,
অক্ষরগুলো হয়না যুক্ত তাই
কাব্য হাবাগোবা।
****************************
নিঃস্ব ফকির
অরবিন্দ সরকার
ভালোবাসা কানা গলিপথে, বেড়ায় ঘুরে,
নিঃস্ব আমি!সব দিয়েছি তারে উজাড় করে।
চলার পথে আমি তার টগবগে ঘোড়া,
উজান ভাটা জঙ্গল বাধা ডিঙিয়েছি বেড়া।
নিষ্ঠুর প্রকৃতির বিরূপ খামখেয়ালীপণা,
নিতে জানে শুধু, ফিরিয়ে দিতে জানে না।
জীবন মরণ এক ঘাটে বাঁধা,সে বৈতরণী,
দেহতরী খেয়া বেয়ে, পৌঁছায় মধুবনী।
শূন্য হাতে এসেছিলে, করেছিলাম পরিপূর্ণ,
পূনঃ শূন্য হাতে ফিরে গেলে,করে মনঃক্ষুন্ন!
তোমার বাড়ি,তোমার গাড়ি, শূন্যতায় ভরা,
আশা-নিরাশার দোলায়,আমি গোবেচারা!
***********************
হায় টাকা যায় টাকা
নিতাই মালাকার
টাকা ঘাঁটি
ঘাঁটি টাকা
জীবন ভরাট ...
জীবন ফাঁকা ...
টাকা ঘাঁটি
ঘাঁটি টাকা
দিন নাই রাত নাই
ভোর নাই সাঁঝ নাই
টাকা ঘাঁটা ছাড়া
মহৎ পূণ্য কোনো কাজ নাই
কখন ভাববো
জীবন না ভরাট না ফাঁকা
টাকা ঘাঁটি
ঘাঁটি টাকা
হায় টাকা ! যায় টাকা !
কী কাণ্ড কারখানা !
টাকার গজিয়েছে কি ডানা !
টাকা ঘাঁটি
ঘাঁটি টাকা
ঘাঁটতে ঘাঁটতে
জীবন বেগানা
জীবন বেগানা ...
**************************
বন্ধু তুমি
স্বপন কুমার ধর
জীবনে ঘনাক যতই আঁধার,
বাসবো তোমায় ভালো,
দেশলাই এর মত নিজে জ্বলেও,
দিয়ে যাব তোমায় আলো।
জানিনা তোমার কী এমন আছে,
মনে হয় খালি বসে আছো পাশে,
তোমার মনেতে মনটা দিয়েছি,
আর কেবল নিঃস্ব হয়েছি।
তোমার দুঃখ মজ্জাতে নিয়ে,
সয়ে নেব সব জ্বালা,
তোমায় আমি পরিয়ে দিতে চাই,
আমার প্রেমের মালা।
মুছে দিতে চাই তোমার নিরাশা,
জাগিয়ে ভালোবাসার আশা,
হৃদয় বাগানে ফোটাব যে ফুল,
থাকবে প্রেমের ভাষা।
বন্ধু, তুমি যেখানেই থাকো,
থাকো সদা তুমি ভালো,
দেশলাই এর মত নিজে জ্বলেও,
দিয়ে যাব তোমায় আলো।
****************************
খোলা হাওয়ায় ভালোবাসা
অনিরুদ্ধ দত্ত
ভালো কি বেসেছি কাউকে?
নিজেকে ছাড়া!---প্রশ্ন করলাম
আকাশের উড়ো মেঘকে;
মৃদু হেসে সে বললো,
'নিঃস্বার্থ প্রেম অভিধানে আছে?
জানি না,-- বৃষ্টিকে তো আমি ধরে
রাখতে পারি না নিজের কাছে!'
মনে মনে ভাবলাম,বৃষ্টি তো থাকে
মেঘকে পরম আবেশে জড়িয়ে,
তাহলে বৃষ্টি কি করে যায়
মেঘের ভালোবাসা ছাড়িয়ে!
কে যেন মৃদু হেসে বললো,
'ভাবছিস কেন এতো মিছে;
সব ভালোবাসা তো হবে উদ্বায়ী,
যখন ডাকবো আমি তোরে কাছে!
তোর পাপ-পুণ্যের সঙ্গে ভালোবাসা
তখন ঘনীভূত হবে প্রকৃতির বুকে।'
তাই সব মলিনতা-দীনতা-বৈষম্য দূরীভূত করে,
আয় খোলা হাওয়া,--আজ জড়িয়ে ধরি তোকে।
======
বিদ্যাসাগর
শিবানী গুপ্ত
সরস্বতীর মানসপুত্র ঈশ্বরচন্দ্র যার নাম
বীরসিংহের সিংহশিশুকে জানাই-প্রণাম
অর্ণবসম বিদ্যার কারনে বিদ্যাসাগর হলে
করুণাভরা মমতায় স'বে দয়ার সাগর বলে
শিক্ষার আলোক বর্তিকা জ্বালালে-ভারতবাসীর-
হৃদয়ে
অজ্ঞানতার তমসা ঘুচালে তুমি- " বর্ণপরিচয়ে"
সমাজের বুক থেকে কুসংস্কারের-যতো আবিলতা
সুদৃঢ় হস্তে হঠাতে তোমার ছিলোনা কাপুরুষতা
নির্ভীক সমাজ সংস্কারক তুমি সকলের- উদ্যম,প্রেরণা
"বিধবাবিবাহ "প্রবর্তনে ছিলো তোমার- বলিষ্ঠ চেতনা
মায়ের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধায় তোমার-নেইকো তুলনা
চির স্মরণীয় ,চিরবরণীয়,তোমায়-- ভুলবো না
বিশ্বজুড়ে নারীকন্ঠে শুধু তোমার--- জয় গান
তোমার সুযশ- সৌরভ রবে চিরকাল-অম্লান।
0 মন্তব্যসমূহ