দর্পণ পত্রিকা || চন্দ্রযান 3 || কবিতা গুচ্ছ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

চাঁদের দেশে

অজয় চক্রবর্তী


চাঁদকেও তো জয় করেছি পাই না কোন ভয়,

চাঁদের বুকে পতাকা টা স্মৃতি হয়ে রয়।

অসাধ্য যা সাধন করলো ভারত মাতার বীর,

ধ্যান, জ্ঞান, আর ভাবনা নিয়ে লক্ষ্য যে স্থির।


এই পৃথিবীর সকল মানুষ ধন্য ধন্য করে,

আমার দেশ আজ হলো মহান আনন্দ অন্তরে।

চাঁদের দেশটা স্বপ্ন ছিল সেটাও হল জয়,

বাড়ছে দেশের মেধা শক্তি হবে না আর ক্ষয়।


চাঁদের বুড়ি চাঁদের দেশে শুধুই চরকা কাটে,

ছোট থেকেই গল্প শুনি সূর্য গেলে পাটে।

চাঁদ ছিল যে সবার মামা স্নিগ্ধ কিরণ তার,

সেই চাঁদকেই বিজ্ঞানীরা করল আবিষ্কার।


জানার বাকি অনেক কিছু নেই তো কোন শেষ,

চাঁদের দেশেও ভবিষ্যতে থাকবে মানুষ বেশ।

আনন্দেতে নাচে হৃদয় আনন্দে রাত জাগে,

আমার দেশ ও কম যায় না বাড়ছে আরো আগে।


এই দেশেতে জন্ম নিয়ে ধন্য হলাম আমি,

জন্মভূমি আমার মায়ের চরণ দুটি চুমি।

বিজ্ঞানটা আবিষ্কারের নতুন নতুন ধারা,

আগামীতেও পথ দেখাবে দেশের বিজ্ঞানীরা।

=====

ভাগ্নে‌‍-ভাগ্নি‍দের জয়

বিনিময় দাস


অমাতে নাই-- 

তারপর একটু একটু করে‌‍ দেখা পাই ।

মনে মনে ভাবতাম

পূৰ্ণি‍মাতে বড়ো হতে হয়তো খেতে খেতে,

ছোটবেলায় রো‍জ এসে তুমি কপালে টি দিয়ে যেতে ।

তোমার জোছনা গায়ে মেখে শুধু ভাবতাম,

যদি কোনোদিন তোমার কাছে যেতে পারতাম !

তুমি আমাদের সবার মামা,

আবার তুমি প্ৰে‌‍মিকের চোখে প্ৰে‌‍মিকা যেন তোমার উপমা ।

প্ৰেমিকের মনের কথাগুলো প্ৰে‌‍মিকাকে তুমি কি বলেছো?

কতদিন তুমি দীঘির জলে সাঁতরে‌‍ আমার সাথে সাথে চলেছো । 

২৩শে আগষ্ট/২০২৩ অতি শুভ দিন,

এ দিনটিতেই তোমার কোলে গিয়ে বসেছে আমাদের চন্দ্রযান-তিন ।

চাঁদমামা-- এখন তুমি আমাদের ঘরে‌‍র সদস্য-- রবে অক্ষয়,

এ যেন ভারতের বাসিন্দা তোমার সব ভাগ্নে‌‍-ভাগ্নি‍দের জয় ।

======

চাঁদের  মাটি

অন্নপূর্ণা দাস


নীল আম স্ট্রং 1969 সালে প্রথম মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রাখে..... 

এই লাইনটি রূপকথা ছোটবেলায় জি. কে. বইতে পড়ে

আমেরিকার পতাকা চঁদে দেখে খুবই হিংসা হতো

কবে আমার দেশের পতাকা থাকবে, এই ভাবে.... 

তবুও যখন পৃথিবীর মানুষ চাঁদের মাটিতে গর্ববোধ হয়

এইভাবে সময় বয়ে চলেছে, সেও বড় হয়েছে

আবার সেই একই পড়া মেয়ের বইতে , চাঁদ আর আমস্ট্রং

তবে দেশ অনেক এগিয়েছে... 

এখন তারা ইসরো থেকে চন্দ্রযান পাঠিয়েছিলেন

তবে সাফল্য আসেনি প্রথমে..... 

2023 সালে আবার চেষ্টা, এবার চন্দ্রযান-৩

এই বিক্রমের অবতরণের নিয়ে সবাই যখন চিন্তায় মগ্ন,  

সে তখন টি. ভি. থেকে অনেক দূরে বসে আছে

অজানা ভয়ে সে অস্থির, 

ঠিক মতো সফল হবে তো! 

এরপর সোসাল মিডিয়া সফলতা খবর আসে

দেশব্যাপী আনন্দ উৎসব পালিত হয়। 

প্রথম চঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের চন্দ্রযান ইতিহাস ..... 

আজ সত্যিই  তার ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে। 

আমরা করবো জয়...... 

এই গানটি মনে মনে সে গেয়ে ওঠে। 

হ্যাঁ আমরা পেরেছি

 কে সিভান এবং এস সোমনাথ এর সাথে ২০০ ভারতের বিজ্ঞানীর অক্লান্ত পরিশ্রমে.....

=====

 চাঁদ জল 

সায়ন্তিকা 


চাঁদ জলে ডুবে যাচ্ছে পৃথিবী ! কল্পবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা লিখছি মৃত্যু ! জ্যোতির্লোকে বেজে চলা নর্তকীর পায়ের ছন্দে ভাঙছে মহাকাল !


চাঁদনী আলোয় ফুটে উঠছে গোলাপ ۔۔۔


চরকার সুতোয় আটকে আছে কবিতা ,

আমরা তবুও লিখছি ইতিহাস !


এইটুকুতেই পুড়ছে মাটি , খনিজ সম্পদের খোঁজে ছুটছে দেশ ,


ওদের কেবল জেগে ওঠে সময় , দেয়াল বেয়ে নেমে আসছে গ্যালাক্সী ۔۔


তারপর ۔۔۔

শস্যক্ষেতে মাথা পাতে ঘরণী ,

চাঁদের ঘরে আলো মাখে প্রতিবেশী ,


এ য্যানো নারীর এক অন্য প্রতিরূপ ,

বড়ো বেশী লাস্যময়ী !


আমরা শুধুই ভিজে যাই জোৎস্নায় অথবা যৌবনের তৃষ্ণায় !


চাঁদের পেটে তবুও কেন যে এতো খিদে , 

সেও কী চেয়েছিলো আরও দু মুঠো নক্ষত্র ?

====

উল্টোপিঠ

ছন্দা দাম


এবার আমরা চাঁদের বুকে স্বপ্নের নীড় গড়বো...

যার আছে সব জারিজুরি হবেই এবার খর্ব।

চাঁদে আমরা রাখবো সাফাই আবর্জনা ফেলব পাশের গ্রহে,

পৃথিবীতে তো দেখাতে পারিনি

সাফাই অভিযান কি হে!!

সব কলঙ্ক এবার আমরা পৃথিবীর দিকে ছুঁড়বো,

দূষণ মুক্ত একটা চাঁদ গড়বোই আমরা গড়বো।

কল কারখানার ধোঁয়া, বিষক্রিয়া,বর্জ পৃথিবীতেই থাকুক যা আছে,

জীবন যাপনের উপকরণ আনব...যা নেই আমাদের কাছে।


আমরা গর্বিত ভারতবাসী আমাদের ও আছে কিছু দায়িত্ব,

পৃথিবীটাকে দূষণ মুক্ত করি  বাড়াই জীবনের স্থায়িত্ব।।

====

যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি

মনোজ কুমার রথ ( শ্রীমান অকুলীন )

                    


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  উজ্জ্বল হল দেশের মুখ;

  আনন্দতে তাই তো মাতি,

  গর্বে ভরা সবারই বুক!


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  চলছে সে, চলছে ঠিক;

  ভারতবাসী গর্বে হাঁটি,

  নিন্দুক তুমি? ধিক শত ধিক।


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  আমার ঘরে মহোল্লাস!

  ভারত তুমি সত্যি মা-টি,

  তোমার বুকেই জন্ম ও বাস।


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  জানবো এ'বার অনেককিছু;

  চাঁদ মামাটা পরিপাটি,

  দাগগুলো কী?  উঁচু-নিচু!


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  কদমগাছটি দেখব কোথায়;

  দিনটা কেমন,কেমন রাতি,

  এঁড়ে গরু আছে হোথায়?


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  জানবো কেমন চরকাবুড়ি!

  সুদূর থেকে গেল নাতি,

  খাওয়ালো কি ভুরি ভুরি?


  যান ছুঁয়েছে চাঁদের মাটি,

  বিশ্ব মাঝে শ্রেষ্ঠ স্বদেশ!

  প্রণাম তাঁদের দিবস-রাতি,

  কৃতজ্ঞতাও জানাই অশেষ।

======

 চন্দ্রযান ৩

রীতা চক্রবর্তী ( লিপি )


এইতো সেদিন দেখল সবাই

চাঁদের বাড়ি উড়ছে দেশের কেতন

ইসরোর কৌশলে দেখলো বিশ্ব

ভারতের উন্নয়ন।


দেখল সেদিন দেখল সবাই

কত উন্নত ভারতের বিজ্ঞান

ল্যান্ডার বিক্রমের পেটেই ছিল

তার সন্তান রোভার প্রজ্ঞান।


সূর্য ওদের শক্তি দিল

চাঁদ দিল জমি

সত্যি রোভার চমকে দিয়ে

বলে দেশটি আমার দামী।


আজ গর্বিত আমরা সবাই 

আপামর ভারত বাসী

ইসরোর বিজ্ঞানীরা অসাধ্য সাধনে

ফুটিয়েছে মুখে হাসি।


বিশ্ববাসী দেখলো এবার

বীর বিক্রমের বীরত্ব

প্রজ্ঞানকে  পেটে ধরে

বুঝাল তার অসীম গুরুত্ব। 


আঁধারে ঘেরা দুর্গম স্থান

চাঁদের  দক্ষিণ মেরু

তবু চন্দ্রযান ৩ নামল প্রথম

ভারত হলো বিশ্বগুরু।


স্মৃতির পাতায় রাখব ধরে

ল্যান্ডার বিক্রম এক সফল চন্দ্রযান

বিক্রম ও প্রজ্ঞান হাত ধরে

করে দিল ভারতকে মহীয়ান।

=====

চাঁদের  দেশে

ঝুমা মল্লিক



আলোর পথ ধরে আলোর দ শ দিকে।

চাঁদনী রাতে চাঁদের সাথে স্বর্গলোকে।  

 উড়ছে তেরঙ্গা,তীর কাঠি,যঞ্জ শেষে। 

এক ভারতবর্ষ চাঁদের সাথে মেশে । 

শেষে দেখেছি, গর্বের তারা হাসে । 

চাঁদ কে সবাই ভালোবাসে।

আশেপাশে সবাই চোখ বুঝে, 

চাঁদের আলোর মায়া তে হামাগুড়ি দেয় । 

কোনদিন ,স্বপ্ন হয়না ফিকে।

====

 চাঁদের মাটি তেরঙ্গা

 শ্রাবন্তী বিশ্বাস 



স্বপ্ন যখন সত্যি হয় 

চোখ ও চাঁদ এক হয়ে যায় ।

অন্ধকার প্রহর গোনে

আর ঠিক ছয়টা বেজে চারে ছয় চাকায় ছক্কা মারে ' বিক্রম ' ।

মহাকাশে তখন একটাই নাম ধ্বনিত হয় " ভারতবর্ষ " ।


গুটি গুটি পায়ে চাঁদের মেরু দক্ষিণে " সে " !

আর মাথা উচুঁ করে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গোটা ভারতবাসী ।

আজ শশী সার্থক সুন্দরী, তার জোছনা সামলানো যাচ্ছে না।

সে বলল তোমরা আজ ঘুমাও নিশ্চিন্তে

আমি আছি জেগে, 

আমার গায়ে আজ আর কলঙ্ক দেখতে পাবে না,

ভালো করে দেখো - 

আজ আমার সর্বাঙ্গে তেরঙ্গা

আমার মাটি সবুজ, আমার হাসি কমলা

আমার বুক জুড়ে শুধুই উৎসবমুখর " ভারত " ।


আজ চাঁদ সবার ঘরে ঘরে -

শুধুই জয়ের একটাই চিহ্ন হয়, নাম তার ঐক্য ।

আজ থেকে বহু বছর পরও যখন তুমি তাকাবে আকাশে

দেখবে ভারতমাতার সন্তানেরা বিজ্ঞান ভালোবেসেছিলো ,

তাইতো তারা চাঁদের মাটিতে হেঁটে চললো বাস্তবিক সফলতা নিয়ে।

====

 তৃতীয় চন্দ্রযান ২৩'শের২৩

 কুশল রায়


একবার না হলেও চেষ্টা করলাম শতবার

কত সহস্র চিন্তাভাবনা দ্বারা হলো গঠন ,

চন্দ্র তটের তরে সেথা করিল গমন 

পরিশ্রমের মর্ম হলো সার্থক চন্দ্র পরিভ্রমণ ৷


দক্ষিণাংশে প্রথম স্পর্শ হইল  গর্বিত সকল দেশবাসী 

রেখেছে মান আধুনিক বিজ্ঞানের আনন্দ রাশি রাশি ,

বৈজ্ঞানিকদের অহোরাত্র প্রচেষ্টায় দেশের মুখ উজ্জ্বল

খুঁজতে উদগ্রীব মোরা যদি পাওয়া যায় এক বিন্দু জল ৷


দেশের জন্য লড়ছে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে

প্রচুর আশায় ভরসা যোগাবে এই ভালোবাসা ওপারে ,

একসাথে কাজের অর্জিত জ্ঞান হয়েছে সমাবর্তন 

দেশের নাম রাষ্ট্র ধ্বজ করেনি অসহায় আত্মসমর্পণ ৷


ভারতীয় হিসেবে প্রথমবার দক্ষিণ মেরু করল দখল

ভাগ্যবিধাতার চরম বাস্তবতায় চন্দ্রে পর্দাপন ,

বিজ্ঞানের আলোকমালায় ফুটল হাসি বিশ্ববাসীর

আনবে নতুন জরিয়ে ধরিত্রী মায়ের স্নেহের আঁচল ৷


এই দেখে অনুপ্রাণিত হবে সবাই 

কঠিন পরিস্থিতিতেও ভেঙে না পড়ে ,

বারং বার প্রমাণিত হয়েছে মানুষ সব পারে ৷ 

তাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের সময় হয়েছে এবার ,

ধরিত্রী হতে সৌরজগৎ পারি দেওয়ার 

নবোন্মেষে জাগবে বিজ্ঞানের প্রতি প্রীতিময় অনুভব ৷

====

 মা, মা গো, মা, করিও ক্ষমা

 সুব্রত সাহা


একদিকে যখন বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে দেশের অপ্রতিহত জয়জয়কার,

সবার আগে চাঁদের কুমেরু ছুঁয়ে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভের উল্লাস;

অন্যদিকে কাঁকড়া রাজনীতির ঈর্ষাপরায়ণতা, নোংরা কাদাছোড়াছুড়ি!

সাধারণ ভারতবাসী হিসেবে "ভারতমাতার জয়" বলাতেও নাকি আজকাল পাওয়া যায় রাজনীতির দুর্গন্ধ!

হায় রে "দুর্ভাগা দেশ" আর তার চেয়েও বেশি দুর্ভাগা দেশবাসী! চোখ থাকতেও যারা অন্ধ!

এমন পরিস্থিতিতে পাই না ভেবে কী করা 'উচিৎ' আর কী যে 'নয়'!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভাবনার অতলে বসে কী যে করি! কাঁদি না কি হাসি? এ যে কী অদ্ভুত এক অসহায় অবস্থা বলে বোঝানো যাবে না!

ক্রমশঃ যেন গ্রাস করছে এক নৈরাজ্যের নিঃসীম অন্ধকার, ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে হয়ে আসছে দমবন্ধ!

হে আমার "দুর্ভাগা দেশ", হে আমার সর্বংসহা মা, তোমার অবোধ অধম সন্তানে করিও ক্ষমা;

অগ্নিযুগের শত শহীদের বুকে বিপ্লব আনা ধ্বনি আজ যখন মতলবী রাজব্যাপারীর ধান্দাকবলিত,,

অসহ্য যন্ত্রণা বুকে সয়ে নীরবে অসহায়ভাবে শুধু চেয়ে থাকা, প্রতিবাদহীন সময়ের স্রোতে ভাসা!

=====

 চন্দ্রালয়ের খবর

প্রণতি মণ্ডল


চন্দ্রে বসে দোলাচ্ছি পা ভাবছো বুঝি মিছে,

ওই যে দেখো চাঁদের বুড়ি বসে মেজাজ খিঁচে।

চাঁদের ঘরে একটা নাতি ,

জ্বালে সাঁজে তারার বাতি।

চাঁদ পরীদের ঠিক দেখেছি যেন কাঁকড়া বিছে।


চন্দ্রালয়ে কর্মবিনে হচ্ছি বসে বোর,

পাখিরা কেউ গায়ছেনা গান যখন হোলো ভোর।

মেঘ ভাসছে তুলো তুলো,

চাঁদ পরীতে খাচ্ছে মূলো।

ঘরে ফিরে যাবো শুনেই  বন্ধ করে দোর।


চাঁদের দেশে চাঁদ পরীরা আমায় আছে ঘিরে,

কল্পলোকের গল্পগুলো খুশির নদী তীরে।

বড়োর সেথায় যাওয়া মানা,

শুধুই যাবে ছোট্ট ছানা।

ভারতমাতার আশিস বয়ে চন্দ্রমামার শিরে।


কালকে নাকি চন্দ্রমামার ঘুম হয়নি রাতে

সারা রাত্তির বকর বকর বিক্রম ভাইয়ের সাথে।

দখিন দিকে কি আছে তার

চাঁদ পরীদের চন্দ্রহার

মধ্যরাতে দিয়েছিলো চন্দ্রপুলি পাতে।


চাঁদের জমির প্রমোটিংয়ে পাড়ার মদন দাস

উঠে পড়ে লেগে গেছে কাটছে সেথায় ঘাস।

 ভিড় লেগেছে ব্যাংকে

 জমছে টাকা ট্যাঙ্কে

 র‍্যাগিং কেসে ফেঁসে মদন করছে হাজত বাস।

=====

চাঁদ 

সৌরভ যাদব 


হাতের মুঠোয় এসেছে চাঁদ,

ভেঙে গেছে সব বাঁধ।

আমরা পৌঁছে গেছি চাঁদে,

আর কে আমাদের বাঁধে? 

জোছনা আজ পড়ছে ঝরে,

 তোমার ঘরে আমার ঘরে !

গর্বে ফুলছে বুক,

দেশ আগামীর পথে

 বিজ্ঞান দেখছে সুখের মুখ!


এমনভাবেই ভুবনডাঙায়

কোনো একদিন জোছনা আসুক,

সবাই খিদে-খোদা ভুলে খুশিতে ভাসুক!

বিজ্ঞান ভালো করে দিক প্রকৃতির অসুখ।

মানুষ তার  অধিকারটুকু পাক,

আমাদের গর্বের দেশ এগিয়ে যাক!!

====

অ্যাকে চন্দ্র

প্রণব কুমার বসু 


চাঁদের দেশে পৌঁছে গিয়ে

বীর বিক্রমে বলে -

'চাঁদ মামাকে অ্যাকলা কি আর

থাকতে দিলে চলে !'

বয়স মামার অনেক হলো

সঙ্গে চাঁদের বুড়ি

আমরা শুধু আকাশ দেখি

হাওয়ায় ওড়াই ঘুড়ি -

এবার থেকে থাকব সবাই

একসঙ্গে মিলে

সঙ্গে নিয়ে দাদু দিদা

ছোট্ট ছেলেপিলে -

সুযোগ হলেই এবার থেকে

টিপটা তুমি দেবে

কাছের থেকে ভালবাসা

অনেক চেয়ে নেবে |

====

উত্থান ব্যর্থতা

শংকর ব্রহ্ম


চন্দ্রযান তিন 'বিক্রম' রেখেছে পা চাঁদের মাটিতে, গর্বের সাথে

ভারতীয় বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে আমরা মুগ্ধ, গর্বিত তাতে

তবু একটা ব্যাপারে চিন্তাশীল মানুষেরা বড়ই ভীত

বিজ্ঞানের চোখ কি কেবল চাঁদের দিকেই নির্বাসিত?


                          চাঁদের নীচেই যে বসবাসকারী 

কত অসহায় ক্ষুধার্ত নর নারী

                         বহুদিন থেকে কষ্টে আছে ভারি

খিদের জ্বালায় তারা চাঁদ দেখে ভাবে

         'ঝলসানো রুটি' যা তাদের বড়ই দরকারী

বিজ্ঞানের কি সেদিকে পড়ে না চোখ? হায় বলিহারী! 


'বিক্রম' কি বুঝবে তাদের মনের ব্যথা?

             না বুঝলে, সেটাও তো বিজ্ঞানের ব্যর্থতা।

====

 ভারত মহান 

সৌম্য পাল


চাঁদের বুড়ি ছুঁয়ে সকলকে করলো প্রমাণ,

ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে উদ্ভাসিত।

এ তো বিজ্ঞানের জয়, জয় বিক্রম, জয় প্রজ্ঞান....

প্রজ্ঞানের আলোর-ছটায় যেন  বিশ্ব হয় আলোকিত।


বিদ্বেষ, ধর্মান্ধতা ও রেষারেষি ,

আর অভাব-অভিযোগ শোনার প্রস্তুতি!

আমরা হতে পারি দীন, 

কিন্তু কখনোই হবো না হীন।


কবিতা, গল্প, রূপকথায় যে,থাকে অস্তিত্ব রহস্যময়ী,

সেই চাঁদকে ছুঁয়েই আমরা হলাম বিশ্বজয়ী।

অক্লান্ত প্রচেষ্টা, অসীম ধৈর্য্য,মেধাবী একদল বিজ্ঞানী,

বিজয় পতাকা উড়িয়ে করলে সাধনা সফল চাঁদের মাটি।


শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতির চির পীঠস্থান ভারতভূমি,

আজ বিশ্বকে পথ দেখালে, তোমার চরণ চুমি।

ধন্য আমার জন্মভূমি, রত্ন -প্রসবিনী, রত্ন-গর্ভা তুমি,

তোমার কোলে জন্ম নিয়ে ধন্য হলাম গর্বিত আমি।

=====

 চন্দ্রযান-৩

অভিজিৎ দত্ত 


গোটা বিশ্বে বেড়ে গেল 

ভারতবর্ষের  সম্মান 

চন্দ্রযান-৩ সফল করলো 

চাঁদে নামার অভিযান।


চাঁদে উপগ্রহ পাঠানোর 

তোড়জোর শুরু হয়েছিল 

অনেক বছর ধরে 

সাফল্য আসে নি এতদিন ধরে।


২০১৯ এ ইসরোর বিজ্ঞানীরা 

চেষ্টা চালিয়েছিল অনেক করে 

অল্পের জন্য তাদের সে চেষ্টা 

ব্যর্থ হয়েছিল, চন্দ্রযান ভেঙে পড়েছিল 

চন্দ্র পৃষ্টে অবতরণ করতে গিয়ে।


এরপর ইসরোর বিজ্ঞানীরা 

আবার চেষ্টা চালায় জোর কদমে 

তাদের সেই চেষ্টা

সফল হল এতদিনে

২০২৩র ২৩শে আগষ্টে 

চন্দ্রযান-৩ সফল হল নামতে 

চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে।

====

 চন্দ্রযান

সুশান্ত সেন


আমার হৃদয় আমার চন্দ্রযান

ভারত আজ বিশ্বে সুমহান

জাগিয়ে তোলো অধরা সম্মান

আমার হৃহয় আমার চন্দ্রযান।


এসেছে আজ নবীন ভাবনা' রা

মৃত হোক অর্বাচীন যারা

ঐক্য সুরে জাগুক নব - গান

আমার হৃদয় আমার চন্দ্রযান।


জ্ঞানের তৃষা বাড়ুক প্রতি - জনে

সৃষ্টি আসুক উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে

ক্ষুদ্রতা সব হয়ে যাক খান - খান

আমার হৃদয় আমার চন্দ্রযান।

=====

Chandrayan-3

Amal Kumar Banerjee 


My heartfelt gratitude to beloved ISRO,

Now we are in the Soft Landing Row.

O! my beloved Scientists, I salute you all,

Did the task and poved by heart and soul. 


O! my mama, I greet the Moon,

I shall come to you very soon. 

You bestowed the Chandrayan-3,

I bow my head to thee.


Lander Vikram is now your guest,

Will take rest for fourteen days.

He will send many massages and photos,

Earth will proud and will be glad to decode.


Shorty we will send Aditya L1 to you,

Please accept him with love as his due.

Chandryan-3, make history on your base,

South pole is known to us except the rest.


India is your fourth guest you adored,

America China USSR and India, love more.

Thanks thanks thanks my love, the Moon,

Dear, we will send another mission soon.

======

অখণ্ড চাঁদ 

সুতপা ব্যানার্জী(রায়)


রাহু শনি কেতুর একশ চল্লিশ  কোটির দেশে,

কুসংস্কার, সর্বগ্রাসী অন্ধবিশ্বাসকে দূরে সরিয়ে, 

চাঁদের হাসিতে ভরে গেছে গোটা দেশ,

বিপ্লবের বন্দেমাতরম শুনেছে পরাধীন ভারত,

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা দেখল আপামর বিশ্ব,

ভারত পেরেছে বৈচিত্র্যের মাঝে এক লক্ষ‍্যে,

এ ভারত দ্যাখেনি জাত,ধর্ম,আঞ্চলিকতা,

দেখেছে মেধা,দেখেছে শ্রম,দেখেছে অনুসন্ধিৎসা,

চতুর্থ হিসেবে চাঁদে ও প্রথম দক্ষিণ মেরুর তল্লাশে,

সাফল্যের চাবিকাঠি এক ও শক্তিশালী হওয়ায়,

এই একদিন নিশ্চিন্তে সর্বহারা,শান্তিতে বেকার,

ঐ পূর্ণিমা যেন ক্ষণস্থায়ী না হয়,আনে জোয়ার,

ভ্রাতৃত্ব,শান্তিমৈত্রীর এক অখণ্ড চাঁদ হয়ে।

====

 সাফল্য

 অহিদা খাতুন 


চারিদিকে শুধু দখলদারি ও প্রতিযোগিতার হিড়িক, 

এরই মাঝে আজ মহাদাপট... 

আমার গর্বের ফার্স্ট বয় ভারতের। 

পুরনো ব্যর্থতাকে ঝেড়ে ফেলে 

চাঁদের দুর্গম মাটিতে পা রাখল, 

ইসরোর চন্দ্রযান ৩ বীর বিক্রম। 

যা পারেনি অন্যরা, তাই করে দেখালো., 

ভারতীয় বিজ্ঞানীদের উন্নত মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ। 

দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সত্যিই আজ যেন ইতিহাস, 

সাফল্যের ছোঁয়ায় ভারতবাসীর স্বপ্নীল মন আজ বাকরুদ্ধ। 

তাই তো বলি —

হে বীর বিক্রম চন্দ্রযান ৩,

তোমায় খুব করে মনে রাখবে সারাবিশ্ব —ভারতবাসী। 

আজ নতুন অধিকারের বলে বলীয়ান হয়ে., ভারত আবারো নতুন উদ্যমে জেগে উঠবে, 

চারিদিক ভরে উঠবে প্রানময় উচ্ছ্বলতায়। 

তোমার সাফল্যের নতুন চিত্রে বিকশিত হয়ে, 

ভারতবাসী শুধু স্বপ্ন সাজাবে সকাল - বিকাল। 

 =====

 সেরা ভারত

পিয়ালী ঘোষ চৌধুরী


চাঁদের দেশে ভারতের পাড়ি

শুভেচ্ছা বার্তা সারি সারি

দক্ষিন মেরুতে প্রথম অবতরণ

 ISRO দের শতকোটি নমন

চল্লিশ দিনের সফল অভিযান

বিশ্বের মাঝে ভারতের প্রথম স্থান

গর্বিত আমরা ভারতবাসী

আনন্দের বন্যা আর খুশি রাশি রাশি

যতো ই আসুক শত্রু ঘেরা

আমাদের ভারত বিশ্ব সেরা

       মহান ছিল

       মহান আছে

চিরদিন কর্মে মহান রবে!

====

 চন্দ্র বিজয় 

ড: সুবিদিতা কুণ্ডু 


মা ডাকে চাঁদ মামা, চাঁদ মামা, 

টিপ দিয়ে যাও, 

চাঁদমামা ছুটে এসে টিপ দিয়ে যায়,  

চাঁদের মা বুড়ি সেথায় চরখা কাটে ,

সেই দেখে খিল খিল করে হাসি  ফোটে l


ইসরোর বিজ্ঞানীরা ধৈর্য ধরে পাঠালো বিক্রমকে,

চল্লিশ দিন লাগলো যে তার , 

মামার বাড়িতে রাখতে পা তার ,

পৌঁছে গিয়ে দক্ষিণ মেরু, করলো বাজিমাত   ।


ঊর্ধ্ব গগনে উড়লো ভারতের পতাকা ,

বেজে উঠলো মাদল ,

জয়ধ্বনি আর উল্লাস চারিদিকে ,

বিজয়ীর হাসি মোদের মুখে  ,

গর্বিত আমরা ভারতীয় বলে l


আজ আমরা বলতে পারি আমরাও পারি, 

কল্পনা আর বাস্তব মিলে মিশে একাকার, 

চারিদিকে জনস্রোত গাইছে একই সুরে, 

আমরা করেছি জয় নিশ্চয় ll

====

চন্দ্রযান ৩ 

উৎপল অধিকারী 


তখন আমার ভারতমায়ের নামডাক নেই এত 

নেই লঞ্চপ‍্যাড নেই টেকনিক নেই সাফল‍্য শত ; 

মনে আছে সাইকেলেতে যন্ত্রগুলো বয়ে 

ইসরো সেদিন যাত্রা করে গুটিকজন নিয়ে। 

হাসলো ওরা , বললো ওরা - ' পাগল যত সব '

অন্তরিক্ষে যাবে নাকি ? মিথ‍্যে কলরব ;

দেখতে দেখতে এরম করে কাটলো একেক দিন 

চাঁদের মাটি ছুঁয়ে বেজায় গর্ব করে চীন। 

অ‍্যামেরিকা ও রাশিয়া ' ভারত ' নামে হাসে

তবুও ভারত যায়নি দমে যায়নি পরবাসে ;

বুকের মাঝে একটু যেন ছোট্ট আশা ছিল 

২০১৯ সময়মতো রকেট উড়ান দিল। 

চাঁদের থেকে আমরা যখন আড়াই কি.মি. দূরে 

হঠাৎ করে ল‍্যান্ডারটি পড়ল ভেঙেচূরে ;

স্বপ্নগুলো ভাঙল আবার দেখল কোটি চোখ

এবার ওরা হাসলো এমন  পাগলা ছিটের রোগ।

ব‍্যর্থ থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের দাঁড়াল দেশ 

সংকল্পে অটুট তারা - চাঁদে নামার রেস ;

পিএসএলভি রকেট চেপে উড়ল সখের যান 

এবার আর ভুল হলোনা ঠিক এল সম্মান। 

২৩ শে আগষ্ট সন্ধ‍্যে ছটায় ল‍্যান্ডার ওই নামে 

ভারতমায়ের জয়ধ্বনি পূব,  পশ্চিম,বামে ;

চাঁদকে পেলাম হাতের মুঠোয়    কল্পকথা নয় 

ভারতবর্ষে কল্পকথাও সত‍্যি মনে হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ