বন্ধ করে আসি ~ শৌভিক গাঙ্গুলী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

আঙুলটা  বাদিকের মাড়িতে চলে গেল! ব্রাশতো ঢুকতো না। যাইহোক চারাপোনা খুব প্রিয়; মাথাটা চিবিয়ে খাচ্ছি, চোখটা বেশ কিন্তু চিবানোর পরেও ভাঙেনি!

-এখানে খেতে দিলি কেন? 


-আরে কতটা খাবে?

-বাবা কিন্তু ছোট থালাতে খায়, মনে  আছে তো? 


সে ঠিক আছে, খাওয়া নিয়ে পঞ্চাশ বছরে অভিযোগ নেই। প্রেসার কুকার খুলে দেখি ভাত আর ডাল কোনটাই সিদ্ধ হয়নি।

মা,

আর কটা সিটি দিয়ে রেখ। স্কুল যাওয়ার সময় খাইনি।

-এত খারাপ লেগেছিল নারে মিমি, বাপানটা জানিস না খেয়ে চলে যেত। 


মাটির এমন থালাতে আগে খাইনি। ছোট বাটি, গ্লাস, ভেজ রাইস আর দই কাতলা, কড়কড়ে চারাপোনা! প্লাসটিক চাটনি ব্যাপক! দেখ ছেলের কান্ড, আমার জর্দা পান এখানে দিল। 

যাক বেশ একটা মোজ আসছে খেয়ে। আরে ঐ তো ভোলা। চেহারাটা কমিয়েছে, ওর বৌটাকে দেখছি না তো। 

-এই ভোলা শোন।

কি রে; ঐ!

যাঃ বাবা; উত্তর দিস না কেন রে? আরে এই যে আমি! 

কেমন তাকিয়ে চলে গেল। আচ্ছা রাগ পড়েনি এখনো; কিন্তু বিয়ে না দিলে এখন কি হাত পুড়িয়ে খেতি? 

আজ উৎসবটা কীসের? ঠিক মনে পড়ছে না তো। একতলায় সবাই আছে দেখছি। 

ছেলেটাকে বলেছিলাম চুল ছোট করতে; এত ঝাকরা চুল জল বসে ঠান্ডা লাগে। 

-কি রে; একবারে ন্যাড়া হয়ে গেলি কেন রে? আবার আমার মতো ধুতি পড়েছিস!

ঠিক মনে পড়ছে না; আজ কী পূজা। যাইহোক ওদের বিরক্ত করব না, একটু ছাদে যাই।

কাকাকাকা!    

এই যাহ! হুস! এভাবে তেড়ে আসছে কাকগুলো! একটু শান্তি নেই।

মিমি কী করছে দেখে আসি।

ঐতো; দোতলার ঘরে। আরে এতো মার সাদা ঢাকাই শাড়িটা পরেছে। অবশ্য ও তো পরে মার শাড়িগুলো। এদিকে পিছন ফিরে কাকে নমস্কার করছে ও? দেখি তো!

এই যে ঠিক ওর পিছনে। 

-ও মিমি, কী করো? কী হল কথা বলো না কেন? 


মিমি সরে নেমে গেছে। টেবিলের ওপর ফটোতে অনেক মালা; ধুপ জ্বলছে। মুখটা খুব চেনা; কে মারা গেছে ঠিক মনে পড়ছে না। দাঁড়াও একটু এগিয়ে দেখি, একিইইই!!

এক দৌড়ে সিঁড়ি ধরে ছাদে; কাকগুলো আর ডাকছে না! পাশের ওলিদের পেয়ারা  গাছ থেকে  কে ডাকছে?

-এই বাপান; পেয়ারা খাবি?

তবে কী আমি...

-মা ও মা; ছাদের চাবিটা দাও, বন্ধ করে আসি!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ