কল্পনার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে 🐦 তৈমুর খান




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

কল্পনার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে

🐦

 তৈমুর খান



 কল্পনা করতে শিখেছিলাম বলেই নগ্ন ও রূঢ় বাস্তব আমাকে জব্দ করতে পারেনি। পার্থিব জীবনের অনেক শূন্যতা স্বপ্নে আমি পূরণ করে নিয়েছি কেউ জানতেই পারেনি। এই কল্পনাই কবিতা লেখা শিখিয়েছে। দুঃখ-যন্ত্রণা, হতাশা-ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিয়ে এক নতুন জীবন দর্শনের ঠিকানা অন্বেষণ করতে প্রেরণা যুগিয়েছে। আমার তীব্র অপমানের প্রতিশোধ নিতে উৎসাহিত করেছে গোপনে গোপনে। আমার আত্মহত্যা করার প্রবণতাকে বাঁচার তাগিদে রূপান্তর ঘটিয়েছে। সুতরাং কল্পনাকে আমি ভুলতে পারি না। ট্রেন-বাসের জানালার ধারে সিট না পেলেও, জমজমাট ভিড়ের মধ্যেও কল্পনা আমার মনের উঠোন ফাঁকা করে দেয় ; আর একান্ত নিরিবিলিতে আমার সঙ্গে গল্প করে যায়, কেউ-ই টের পায় না। তখনই মনে মনে নিজেকেই বলি: কল্পনা আছে বলেই আমি বেঁচে আছি। কল্পনা আছে বলেই এই অসহ্য ভিড়ের মধ্যেও আমার অসুবিধা হয় না। যখন মরে যাবার কথা ভাবি, তখনও কল্পনার সঙ্গে কথা হয়। সেই মৃত্যুর জগৎ-ও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে তখন।  কীরকম অনুভূতি হবে তা ভেবে শিউরে উঠি। মনে পড়ে যায় জর্জ বার্নার্ড শ নিজের সৃজনশীলতা বিষয়ে যে উক্তিটি করেছিলেন:

“Imagination is the beginning of creation. You imagine what you desire, you will what you imagine and at last you create what you will.”

 অর্থাৎ কল্পনা সৃষ্টির শুরু। আপনি যা চান তা কল্পনা করেন, আপনি যা কল্পনা করেন এবং শেষ পর্যন্ত আপনি যা চান তা তৈরি করেন। সুতরাং কল্পনা-ই আমার কাছে একটা শক্তি, একটা গভীর আশ্রয়। তাই লোকে যখন বারবার প্রশ্ন করে: কবিতা কেন লেখো? তখন ওই উত্তরটি ফিরে আসে: কল্পনা আমাকে লেখায় বলেই লিখি। কল্পনা আমার অসুখ সারিয়ে দেয় কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। কল্পনা আমাকে ঘুম পাড়ায় আমার বিষাদের রাত্রিতে। কল্পনা আমার একাকী নির্জনের সঙ্গী। আমার মন যখন যা চায়, কল্পনা তৎক্ষণাৎ তাই এনে দেয়।

 একবার উঁচু পাঁচিল ঘেরা একটা বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। বাগানটিতে বেশ কয়েকটি ডালিম গাছে অজস্র ডালিম ঝুলে থাকতে দেখেছিলাম। খুব ইচ্ছে করছিল লাল লাল ডালিম ফলগুলি দু'চারটে পেড়ে নিতে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বাড়ি এসে খুব মনে পড়ছিল সেই দৃশ্য। কল্পনা বলল: দাঁড়া এর ব্যবস্থা করছি। চোখ বুজে অনেকক্ষণ অনুভব করলাম দুই হাত ভর্তি ডালিম ফলগুলি। আর তার লাল লাল দানাগুলি মনে মনে ছাড়ালাম আর খেতেই থাকলাম। এখনও খাচ্ছি, খাওয়ার যেন শেষ নেই। শুধু ডালিম খাওয়া কেন! এভাবেই কত কিছু খাচ্ছি। কত দামি জিনিসও কল্পনা এনে হাজির করছে। পোলাও কোর্মা কোপ্তাও নিমেষের মধ্যে চলে আসছে।

   বয়ঃসন্ধি কবেই পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও প্রথম প্রেমে পড়ার সংরাগ তেমনই অক্ষুণ্ণ আছে। দিঘিরপাড়ে সারি সারি তালবনের মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা। বিকেলের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে। রোদের শেষ রুপোলি আভা ছড়িয়ে পড়েছে ঘাটে কলসি ভরতে নামা কাঁচা যুবতীর মুখে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। মাথার খোঁপাও আলগা হয়ে গেছে। তারপর জলের কলসির ভারে নুয়ে পড়া তার সরুমাজা বুকের ভেতর তরঙ্গের অভিঘাত হেনে চলেছে। আলতা-ভেজা খালি রঙিন পায়ে হেঁটে যাচ্ছে যেন কোনও অপ্সরা। একবার মুখ ফিরিয়ে হাসির ঝিলিক তুলে ছলাৎ ছলাৎ জলের আওয়াজে মন কেমনের ভাষায় ঝড় তুলে চলে যাচ্ছে। শুধু ওরই জন্য রোজ এসে বসে থাকছি। কখনও ছিপ হাতে, কখনও তাল কুড়োবার ছলনায়। এসব দেখতে দেখতেই কল্পনা আমাকে কবিতা লেখা শেখাচ্ছে। অঙ্কের খাতায় লেখা হয়ে যাচ্ছে :

"তোমার কলসির জল নাচে ছলাৎচ্ছল

রাঙা ভেজা পা দু'খানি আরও উজ্জ্বল 

রোদের চপ্পল পরে যাও বাঁকা পথে 

সরুমাজা, আজ স্বপ্নে এসো রাতে।" 

 হ্যাঁ সরুমাজা রাতেই আসে। মনে মনে তার শয্যা পাতি। কল্পনা তাকে আমার পাশে এনে শুইয়ে রাখে। অনেক রাতে ওর বুকে চাঁদ আবিষ্কার করি। নাভিতে নাভিপদ্ম ফুটে উঠতে দেখি। সরুমাজা পানসি নৌকার মতো পিছলে পিছলে যায়, কিছুতেই ধরতে পারি না। ওর আলতা ভেজা পা দু'খানি আমার মাথার ওপর তুলে নিই আর জয়দেবের মতো ওঁর ভাষাতেই উচ্চারণ করি : "স্মরগরল খণ্ডনং, মম শিরসি মণ্ডনং, দেহি পদপল্লব মুদারম" 

অর্থাৎ তোমার গরল নাশকারী চরণপদ্ম আমার মাথায় দাও, আমার দেহমনের বিরহ শীতল হোক। টের পাই কল্পনা আমার ভেতরের জয়দেবকেও জাগিয়ে তুলছে। আর সরুমাজাকে পদ্মাবতী করে তুলছে। ধন্য কল্পনা, তুমি কিনা পার‌ো! আজও পথে-ঘাটে, কর্মস্থলে, ট্রেন-বাসে কত সরুমাজা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের মাজায় কলসি নেই ঠিকই, তবুও ওদের মুখে আমার প্রথম প্রেমে পড়া কিশোরীর মুখ মিলিয়ে নিতে থাকি। শেষ সূর্যের আলো পড়া সেসব মুখে লেগে থাকে হাসির ঝিলিকও। কল্পনা এসে চাঁদ আবিষ্কার করে। আমি আমার বেড়ে যাওয়া বয়সকে তুচ্ছ ভাবতে শিখি এবং মনে মনে নবীন কিশোর হয়ে উঠি। কল্পনা না থাকলে কিছুই সম্ভব হত না। আমি পাথর হয়ে সংসারের মরুভূমিতে পরিত্যক্ত হতাম। আমার অনুভূতির ডালপালায় কোনও শকুন এসেও বসতো না।

   একদিন অন্ন সংস্থানের খোঁজে বিনা টিকিটে মুম্বাই যাত্রা করেছিলাম। সঙ্গে কিছুই ছিল না। কখনও মানুষের ভিড়ে, কখনও সিটের তলায় না খেয়ে, না জলপান করেও মুম্বাই পৌঁছে গেছিলাম। সেখানে বহু খোঁজ-তালাশ করে এদেশীয় রাজমিস্ত্রিদের দেখা পেয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে কাজে লেগে পড়ি আর রাত্রিতে রাস্তায় চট পেতে মাথায় ইটের বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। বিচিত্র নারী-পুরুষের সঙ্গে এইভাবে রাস্তায় থাকাও এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা শুধু কল্পনার কারণেই। কল্পনার পাশাপাশি থাকতে থাকতে আমাকেও কাল্পনিক মনে হতে থাকে। স্ট্রিট-লাইটের আলোয় আবছা অন্ধকারে কল্পনার সঙ্গে লুকোচুরি খেলি। ইচ্ছেগুলি দ্রুতগামী মাছের মতো চলাফেরা করে। স্থির হতে বললেও কিছুতেই স্থির হয় না। কখনও কখনও নারী-পুরুষ মিলে উদোম রাতের খেলা চোখে পড়লে আমারও ইচ্ছে হয় কল্পনার সঙ্গে খেলতে। আর তখন মনে মনে আমরাও সব কাপড়-চোপড় খুলে ফেলি। আনন্দ উপলব্ধির রেশ সামাল দিতে চোখ বন্ধ করি আর ভেতর ভেতর চলতে থাকে খেলা। ভোর ভোর উঠে ইটের উনুনে কাঠের টুকরো জ্বালিয়ে ভাত ফোটাতে থাকি। ভাতেই সেদ্ধ হতে থাকে আলু। তারপর রান্না হয়ে গেলে মাড়-ভাতের সঙ্গে নুন-কাঁচাপেঁয়াজ সহযোগে গোগ্রাসে গিলতে থাকি। আহা সে কী অমৃত! কল্পনা এখনও সেই জিভের স্বাদ এনে দিতে পারে। দিনের বেলা কত সুন্দরী যাওয়া-আসা করে। কল্পনা তাদের সঙ্গে সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যায়। আবার ফিরে আসি। কিছুক্ষণ তাদেরকে নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি তারপর আবার ভুলে যাই। এমনি করেই কল্পনা আমার আপন হয়ে ওঠে। একটা কবিতা লিখতে গেলে সে এসে লিখে দেয়:

"কাল্পনিক

-----------------

সবকিছুই কাল্পনিক। আমিও একটি কাল্পনিক চরিত্র।

কল্পনার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়েছে

অবাস্তব আমার সন্তান

আমার সমূহ ঘরদোর ঝিকিমিকি

কথাবার্তা আলো-অন্ধকার


এখানে কোথাও সত্যরা থাকে না

ধর্মরা ব্যবসা করে, মানুষ ঠকায়।"

   কল্পনা জানে আমার নামও কাল্পনিক। কল্পনা আমার বউ। আমার ঘরদোর ঝিকিমিকি। কথাবার্তা আলো-অন্ধকার। তাই রহস্যময়। এই রহস্যময়তা নিয়েই আমি মাঝে মাঝে বালক হয়ে যাই। মাঝে মাঝে বৃদ্ধ হয়ে যাই। মাঝে মাঝে নিত্যন্ত পাগল। মাঝে মাঝে একেবারে উদাসীন বাউল। কল্পনা জেনে গেছে সত্যরা এখানে কেউ থাকে না। ধর্মরা সবাই ব্যবসা করে। মানুষ ঠকায়। কিন্তু কল্পনা আমাকে কি ভালবাসে না?

  খুব খুব ভালোবাসে আর ভালোবাসে বলেই আমার সঙ্গ ছাড়ে না। আমি যেখানেই যাই, আমার রাস্তা বাতলে দেয়। আমার হাসি-কান্নার সঙ্গে তারও হাসি-কান্না মিশে থাকে। আমার স্বপ্নের সঙ্গে তারও স্বপ্নযাপন। আমার বোধের সঙ্গে তারও বোধ উচ্চারিত হয়। আমেরিকার লেখক এলিস ওয়াকার(১৯৪৪) এই কারণেই বলেছিলেন:"If you fall in love with the imagination, you understand that it is a free spirit. It will go anywhere, and it can do anything."

অর্থাৎ আপনি যদি কল্পনার প্রেমে পড়েন তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি একটি মুক্ত আত্মা। এটি যে কোনও জায়গায় যাবে এবং এটি যে কোনও কিছু করতে পারবে।  এই মুক্ত আত্মাকেই লালন করে চলেছি তাই এমন কবিতা চাষ। আমার প্রবৃত্তির অন্ধকার পশুগুলিকে কখনও আলোর সামনে দাঁড় করাতে পারিনি। তারা এতই অসভ্য, এতই বিবেকহীন যে কখনোই সহনশীল হতে জানে না। সুযোগ পেলেই বের হয়ে আসতে চায়। আমার স্বপ্নের ঘরের দেওয়াল ফুটো করে দেয়। নিষিদ্ধ কারবারে খুব আগ্রহ ওদের। সমাজ রাষ্ট্র পুলিশের ভয় দেখাই। লোকচক্ষু লোকলজ্জার কাঁটাতারের বেড়ার কথা উল্লেখ করি। তবু ওরা গোপন পথ খোঁজে। তখন কল্পনা ওদের ঠাণ্ডা করে। কত যুবতী মেয়েকে কল্পনা এনে পাশে শুইয়ে দেয়। তারপর মনে মনেই রতিক্রিয়া চলে। দিনরাত এভাবেই যে কতজন ধর্ষিতা হয়ে যায় তার হিসেব থাকে না। কখনও কখনও এলোমেলো কথাবার্তা বলে নিজেদের অসন্তোষ ঢেকে রাখে। কবিতায় লেখে। অথবা না লেখা শূন্যতায় একটা স্পেস রেখে দেয়। পাঠক এসে সেই কবিতায় প্রবেশ করেও কিছুই পায় না। শুধু আমলকি বন কাঁপে যেন তার বুক করে দুরু দুরু। সহজপাঠ শেষ করে পাঠক রবীন্দ্রনাথেই বন্দি থাকে। কল্পনাও তাদের শিক্ষা দেয় এরকম কঠোর-কঠিন একটি কবিতা শুনিয়ে:


"চলিত বাংলা

🌺

কেউ কেউ সাধুভাষা

তৎসম বিলাসে দ্রুত হেঁটে যায়

আমরা চলিত বাংলা পিছনে পড়ে থাকি

যদিও সাইকেল আছে; পকেটে কিরণ বিড়ি।


ওদের ছোঁয়া হাওয়া আমাদেরও ছুঁয়ে যায়

যদিও ওদের ময়ূর আছে; আমাদের মোরগ চেঁচায়।

বাস্তবের আগে জাদু লিখে ওরা ওড়ে মহাকাশে

আমরা শুধু ঝরাস্বপ্নগুলি কুড়িয়ে পাই ধুলো আর ঘাসে।

কখনো কখনো বৃষ্টি হয়; বৃষ্টিতে তরণী হাসে—

আমরা কলার ভেলায় ভাসাই লখিন্দর।

পরম আনন্দগুলি নগ্ন হতে হতে সভ্যতায় নাচে

আমরা চরম তুচ্ছ শব্দশ্রমিক,বেঁচে থাকি কান্না মুছে।"

🐓

 প্রবৃত্তি 'চরম তুচ্ছ' এই অভিমানেই শব্দশ্রমিক হয়ে বেঁচে থাকে কবিতায়। কে এসে খুঁজে পাবে? পাঠকরা তো বেশিরভাগই অভিজাত পাড়ায় থাকে, গরিব পাড়ায় তারা কি খুঁজতে আসে জীবনের উচ্চারণ? আসে না বলেই এক সময় জীবনানন্দ দাশও তাচ্ছিল্য পেয়েছিলেন। অন্ধকারে ঘুমিয়ে যেতে চেয়েছিলেন না জাগার অঙ্গীকার নিয়ে। কত চাঁদ ডুবে গেছে। অশ্বথের ডালে বুড়ি প্যাঁচা এসে বসেছে ইঁদুর শিকারের জন্য। কিন্তু শিকার কি করতে পেরেছে? প্রবৃত্তি এই বুড়ি প্যাঁচার মতো। তার শিকার করার নেশা চিরদিনই থেকে যায়। চিরদিনই সে চাঁদ ডুবে যাওয়ার অপেক্ষা করে। কল্পনা তারই সঙ্গী হয়। তাকে নিয়ে যায় কখনও কখনও অসামাজিক অন্ধকারের দিকেও। কারও গৃহে প্রবেশ করে মনে মনে কাউকে নোংরা করে দেয়। তবে একথা সত্য কল্পনা ছিল বলেই প্রবৃত্তিকে জেল খাটতে হয়নি। পুলিশের ডাণ্ডা খেতে হয়নি। চরিত্রহীন অভিধা পেতে হয়নি। রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে পড়তে হয়নি। রাস্তায় শুয়ে রাত কাটিয়েও নিজেকে ঝরঝরে তরতরে রেখেছে। বাসিভাতের আমানিতে কয়েক গণ্ডা ভাতকে চিংড়ি মাছের মতো খুঁজে খুঁজে খেয়েও অনন্ত খাবারের ঢেকুর তুলেছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টেরিকেটে মুচকি হাসি মেরে ঘোষণা করেছে 'আমি কত সভ্য দেখো'। সুন্দরী সাইকেল-বালিকার পেছনে অযথা বেল বাজিয়েও জানাতে চেয়েছে 'আমি কত মার্জিত পুরুষ'। বাসের ভিড়ে আড় চোখে নারী শরীর জরিপ করতে করতে সতর্ক হয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়েছে যেন বলতে চেয়েছে 'আমি কত সাধু পুরুষমানুষ'। কল্পনা এসে এইসব মুহূর্তগুলির মোকাবিলা করেছে। কলঙ্কিত হতে দেয়নি।  ১৯৮৮তে ওয়েবস্টারস নিউ ওয়ার্ল্ড ডিকশনারি অফ কোটেবল ডেফিনিশন, ইউজিন ই. ব্রাসেল দ্বারা সম্পাদিত, দ্বিতীয় সংস্করণ, বিভাগ: কল্পনায় জুলেস ডি গল্টিয়ারের একটি উদ্ধৃতি (পৃষ্ঠা ২৭৭) উল্লেখ আছে:

"Imagination is the only weapon in the war against reality."~(Jules de Gaultier)

অর্থাৎ বাস্তবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানুষের একটাই অস্ত্র থাকে—কল্পনা।

 এই মূল্যবান অস্ত্রটি নিয়েই কবিতার জগতে আমি বহু পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছি। তাবড় তাবড় কবিদের প্রতিযোগিতায় সবার আগেই অবস্থান করছি। মেট্রো কবি, স্মার্ট কবি, পোস্টমডার্ন কবি, অ্যান্টিপোয়েট্রির কবি, আমার শত্রুকবি, আমার সমালোচক কবি, আমার কবিতা হয়নি বলা কবিরও মুখের উপর জবাব দিতে পারছি এই শক্তির দ্বারা। তাই কল্পনাকে নিয়েই আমার ঘরকন্না, স্বপ্ন দেখা, বেঁচে থাকা এবং বিস্ময়কর হয়ে ওঠা কখনও ফুরিয়ে যাবে না। এই নরকেও আমার স্বর্গ রচনা চলতেই থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. দর্পণের নির্বাচন খুব সুন্দর হয়েছে। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।

    উত্তরমুছুন