পোস্ট বার দেখা হয়েছে
নীলনদের তীরে পিরামিডের দেশে
(পর্ব- ৪)
সোমা মুখার্জী
কাল তো সারাদিন ঘুরে এসেছি আলেকজেন্দ্রিয়া থেকে। এবার আমাদের যাত্রা পথ অন্য। কায়রো ছেড়ে যাব অসওয়ান লাক্সার, যেতে পথে আরো অন্য কিছু, অনেক দর্শনীয় স্থান দেখে নেব।
আজ সকালে ১৭ই অক্টোবর২০০৮, কায়রো থেকে কয়েক কিলো মিটার দূরে গিজা থেকে আমাদের ট্রেন ছাড়বে। যাব অসওয়ান...
অসওয়ান থেকে আর হোটেল নয়।আমার ভাসবো নীল নদের বুকে জাহাজে...কয়েক রাত্রি এবং দিন।
আমরা তো একসাথেই চলেছি কলকাতা রোয়িং ক্লাবের ঐ গ্রুপটার সাথে। দলে সবাই মিলে বারো জন। হৈ হৈ করতে করতে এসে পৌঁছলাম অসওয়ান.. আমাদের অভ্যর্থনার জন্যে সামনেই দাঁড়িয়ে আমাদের গাইড শরীফ। ঐ আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলবে জাহাজে।
অসওয়ান থেকে লাক্সার যাওয়ার পথে নীলনদের তীর ধরে ধরে আছে বহু ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য স্থান।
সেই গুলো দেখব বলেই ছুটে এসেছি এত দূর দেশে।গন্তব্য স্থান গুলি জাহাজ এক জায়গায় থামলে সেখান থেকেই নেমে নেমে দেখে নেব এক একটা জায়গা...
নাইল ক্রুজ এর জায়গায় পৌঁছে দেখি সেখানে নদীর ধার ধরে ধরে অনেক রঙবেরঙের জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। একটু পাহাড়ি জায়গা বেশ উঁচু উঁচু পাথরের সিঁড়ি ভেঙে নীচে জাহাজের কাছে পৌঁছতে হল। গিয়ে দেখি আমাদের জাহাজ অনেক পিছন দিকে। প্রায় তিন চারটে জাহাজের মধ্য দিয়ে পেরিয়ে অবশেষে পৌঁছলাম আমাদর কাঙ্খিত জাহাজ টি তে।জাহাজের মধ্যে ঘরের মত সাজানো কেবিন দেখে মন ভরে গেল..ব্রেকফাস্ট ডিনার ইত্যদির জন্য নীচে ডেকে আলাদা আয়োজন... চা নিয়ে নদী বক্ষে সময় কাটানোর জন্যে ছাত তো আছেই।
আজ আঠেরো তারিখ..দুপুরদুটো বেজে গেছে এখানে। একটু আগেই আমাদের জাহাজ নীলনদের জলে ভাসতে শুরু করেছে।এ এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা। যা ছিল স্বপ্ন তাই যেন আজ কছে এল। ছোটবেলায় ইতিহাসে পড়া চরিত্ররা যেন মূর্ত হয়ে উঠল চোখের সামনে।এই যে পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাদের ভারতবর্ষ থেকে যা অনেক দূরে, আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাংশে,
আজ সেখানে এসে পৌঁচেছি ,ভেসে চলেছি নদীর ধারে ধারে কিছু গাছপালা পিছনে বালিয়াড়ি..
চলেছি Com ambo.. temple দেখতে...
আবার আসব পরের পর্বে মন্দির দর্শন নিয়ে...
( চলবে ........)
আরও পড়ুন ....
2 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ ❤️
উত্তরমুছুন
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগছে